মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জমি মাফিয়াদের ঘুম উড়ল, পুলিশের অভিযান শুরু

আসানসোল: কয়লা ও বালি ব্যবসার পর শিল্পাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অবৈধ এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপ জমির ব্যবসায় দেখা গেছে। মাফিয়ারা তাদের কালো টাকা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। এর পাশাপাশি, তাদের আয় বাড়ানোর লোভে কিছু সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিও এই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় সড়কের ধারে বড় আকারে জমির কেনাবেচা হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার টাকায় জমি কিনে তা লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

সরকারি জমি দখল এবং পুকুর ভরাটের অভিযোগ

মাফিয়ারা শুধুমাত্র পুকুর ভরাট করেই থেমে থাকেনি, তারা সরকারি জমিও দখল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়াকড়ির পরে, পুলিশ এবং আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিভিন্ন থানায় প্রায় এক ডজন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

পলাশডিহা, দক্ষিণ ধাদকা, এবং নারসিংহবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট এবং সরকারি জমি দখলের অভিযোগে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সূত্র অনুযায়ী, আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, হীরাপুর এবং কুলটি থানায় প্রায় ১১টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

সাদা পোশাকধারীদের উদ্বেগ

পুলিশি পদক্ষেপের পরে জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরাও আতঙ্কিত। এই পদক্ষেপে তাদের অবৈধ কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

জনপ্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা

রাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী মালয় ঘটক মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়ে এই পুকুর ভরাট এবং জমি দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিউনিসিপ্যাল প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, পরিবেশের ক্ষতি এবং সরকারি সম্পত্তি দখলের এই কর্মকাণ্ড অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।

ghanty

Leave a comment