আসানসোল: আসানসোল উত্তর থানার অধীনস্থ পালাশডিহ মৌজায় অবস্থিত একটি পুকুর ভরাট করে কোটি টাকার জমি বিক্রি করার ঘটনা সামনে এসেছে। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে এই জায়গায় আগে পুকুর ছিল, যা ভরাট করে বেআইনি ভাবে বিক্রি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর জমি বিক্রেতাদের পাশাপাশি জমি ক্রেতাদের বিরুদ্ধেও FIR দায়ের করা হয়েছে।
জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে FIR
এই কেলেঙ্কারিতে শ্যামল কৃষ্ণ রায়, তাপস নন্দী ছাড়াও আরও ২৮ জনের নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন সরিতা দেবী, জাহানারা নুসরাত, নূর ফাতিমা, মো. ইনুয়াল হক, রেশমা খাতুন, ফারহাদ আসলাম, মো. ফারমান আসলাম, মো. রেভরাজ, সায়রা বানু, নেহা পারভিন, মুর্তুজা খান, মোহাম্মদ সামসের, স্তারি বানু, মোহাম্মদ নদিম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আশরাফ, মোহাম্মদ শাকিল, মোহাম্মদ জাকির হুসেন, মোহাম্মদ পারভেজ আলম, গজালা ফাতিমা, সুফিয়া গজালা, মোহাম্মদ নূর আলম, দরখশান নাজ, মোহাম্মদ জাভেদ হাসান, ফারহা নাজ, সরফরাজ আখতার, আবিদা নসরত এবং আহমেদ আশরাফি।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক
পুলিশ জমি ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করার পর এখন জমি ক্রেতাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন, তারা জমি কেনার আগে বৈধ নথিপত্র দেখেই কিনেছেন, কিন্তু এখন তাদের নামেও মামলা হওয়ায় তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
পরিবেশ ও আইন উভয়ের ক্ষতি
পুকুর ভরাট করে জমি বিক্রি করা শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়, এটি সরকারি আইনকেও চ্যালেঞ্জ করে। এই ঘটনার কারণে সরকারী রাজস্বেরও বড় ক্ষতি হয়েছে।
কঠোর তদন্তে পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনায় আরও বড় চক্রের নাম সামনে আসতে পারে। সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং এমন বেআইনি কার্যকলাপ আর বরদাস্ত করা হবে না।