সিসিটিভি ফুটেজে ধরা ভয়াবহ মুহূর্ত, মাথায় গুলি চালাল বাইক আরোহী

single balaji

আসানসোল : কুলটির নিয়ামতপুরে চাঞ্চল্যকর জাভেদ বারিক খুন মামলায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ। আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বোরো অফিসের প্রাক্তন চুক্তিভিত্তিক কর্মী জাভেদ বারিককে জমি-সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গত শুক্রবার রাতে গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার সোমবার ভোরে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হলো জাভেদেরই আত্মীয়া ফারাহ নাজ ও তার ভাতিজা ফয়জল সায়েদকে।

কুলটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ফারাহ নাজ জাভেদের খুড়তুতো বোন। মঙ্গলবার তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হয় এবং পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।

ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

গত শুক্রবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ কুলটি থানার নিয়ামতপুরের রহমানপাড়ায় ঘটে এই নৃশংস খুন। অভিযোগ, দুই বাইক আরোহী জাভেদকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এলে অভিযুক্তরা বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাভেদ।

এই পুরো ঘটনাই ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। ফুটেজে দেখা যায়, দুই অভিযুক্ত আগেই রাস্তায় ওঁত পেতে বসেছিল। জাভেদ এগিয়ে আসতেই তাদের একজন পিস্তল বার করে মাথায় গুলি চালায়।

জমি বিবাদের জেরে ‘ঘরের লোকেই খুনি’

পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, শিলিগুড়িতে শ্বশুরবাড়ির জমি নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিলেন জাভেদ। এ নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছিল। মৃতের স্ত্রী শবনম খাতুন ও পরিবার দাবি করেছেন, সেই জমি সংক্রান্ত বিবাদই খুনের মূল কারণ। পরিবারের তরফে বেশ কয়েকজনের নামও পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার ইন্তেখাব আলম শ্যুটারদের খবর দিয়েছিল। এমনকি গুলি লাগার পর জাভেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েও সে উপস্থিত ছিল।

মৃত জাভেদের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই মামলার এফআইআরে তিনজনের নাম রয়েছে। পুলিশের দাবি, ধাপে ধাপে তদন্ত এগোচ্ছে এবং খুব শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হতে পারে।

ghanty

Leave a comment