[metaslider id="6053"]

আসানসোল কন্যাপুরে লোকশিল্পীদের মহাসম্মেলন, মঞ্চ মাতালেন শিল্পীরা

আসানসোল, কন্যাপুর:
আসানসোলের কন্যাপুর শ্রমিক ভবনে আয়োজিত হল পশ্চিমবঙ্গ লোক শিল্পী সম্মেলন
এই বর্ণময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক,
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি,
এবং জেলা শাসক এস. পন্না বালম

🎭 লোকশিল্পীদের মঞ্চে সজীব সাংস্কৃতিক পরিবেশনা:

সম্মেলনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বহু প্রতিভাবান লোকশিল্পী
বাঁউল গান, ঝুমুর, ছৌ নৃত্য ও নানা লোকনাট্যরূপে তাঁদের শিল্পপ্রতিভা উপস্থাপন করেন।
তাঁদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়ে ওঠে দর্শকরা, হলঘর জুড়ে পড়ে যায় করতালির গর্জন।
লোকশিল্পীদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দও হাততালি দিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান।

🎤 মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা:

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকশিল্পীদের জন্য যে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন,
তা এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
লোকশিল্পীদের বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে – তারা আজ শুধু গ্রামাঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়,
রাজ্যব্যাপী পরিচিতি ও মর্যাদা পাচ্ছেন।

💬 শিল্পীদের প্রতিক্রিয়া:

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা বলেন,

“এই রকম সম্মেলন আমাদের নতুন উদ্যম, আত্মবিশ্বাস ও পরিচয়ের সুযোগ দেয়।
লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এ ধরনের উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন।”

📷 সংস্কৃতির মহোৎসবে রঙিন কন্যাপুর:

পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য সাজসজ্জা,
লোকগানের সুর আর নৃত্যের তাল,
মঞ্চে বাংলার মাটি, জল, সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ যেন মূর্ত হয়ে উঠল।

উপসংহার:

এই সম্মেলন শুধুই এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় –
এ এক শিল্পীদের অধিকারের, অস্তিত্বের এবং আত্মমর্যাদার উৎসব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপে
লোকশিল্পের প্রতি সামাজিক এবং প্রশাসনিক স্বীকৃতি মিলছে –
যা ভবিষ্যতে বাংলার সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে আরও জাগ্রত করবে।

“লোকসংস্কৃতি বাঁচলে, বাঁচবে শিকড়” – এই বার্তায় শেষ হল আসানসোলের লোকশিল্পী মহাসম্মেলন।

ghanty

Leave a comment