আসানসোল শিল্পাঞ্চলের জামুড়িয়া ও রানীগঞ্জ অঞ্চলের ১১টি কারখানার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে আসানসোল পৌরনিগম এই বিষয়টিতে সমীক্ষা চালিয়ে নোটিস জারি করেছিল, কিন্তু কার্যত কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগে, প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি একটি প্রেস মিটে এই কারখানাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে পৌরনিগমের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
এখন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে বেআইনি দখল সরানোর উদ্যোগ শুরু হওয়ায়, পৌরনিগম কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আসানসোল পৌরনিগমের বর্তমান মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বেআইনি নির্মাণের কারণে এই কারখানাগুলিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে এবং ভারী জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। পৌরনিগম তাদের ১৫ দিনের সময়সীমা দিয়েছে, যার মধ্যে জরিমানা না দিলে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কিছু কারখানার মালিক, যেমন শিল্পপতি পবন মাভামদিয়া এবং সুমিত চক্রবর্তী, মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। এই সাক্ষাতের কারণ জানতে চাইলে তারা এটি পানির সমস্যার সমাধান বলে দাবি করেন এবং অন্য কোনো কারণ নাকচ করেন। এ প্রসঙ্গে মেয়র বিধান উপাধ্যায় স্পষ্টভাবে মিডিয়াকে জানান, এটি কোনো পানির সমস্যা নয়, বরং সরকারি জমি দখলের বিষয়।
স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ইস্যুতে তাদের কণ্ঠ তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে শিল্প গড়ে তোলা নিয়ম লঙ্ঘনের সামিল। পৌরনিগমের এই পদক্ষেপ অন্যান্য অনুরূপ বিষয়েও প্রভাব ফেলতে পারে, যেখানে বেআইনি দখলকারীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হতে পারে।