[metaslider id="6053"]

‘মানবিকতা কোথায়?’—অ্যাম্বুলেন্সে ছটফট করল রোগী, হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

আসানসোলের লাইফ লাইন হাসপাতাল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসায় মারাত্মক গাফিলতির কারণে এক রোগীকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রাখা হয়। সেই সময়ে রোগীর স্ত্রী হাসপাতালের ভেতরে ছুটে বেড়ালেও তাঁকে সাহায্য করা তো দূরের কথা, উল্টে দুর্ব্যবহার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা রবীদাস মণ্ডলকে কয়েকদিন আগে সামান্য ফোঁড়ার সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধু টাকার দাবি করেছে, অথচ রোগীর শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার চিকিৎসার আপডেট জানতে চাইলে তাঁদের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি।

শনিবার সকালে চরম অমানবিক ঘটনা সামনে আসে। রবীদাস মণ্ডলকে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে শুইয়ে রাখা হয়। এই সময় তাঁর স্ত্রী বারবার প্রশ্ন করেন—“কীভাবে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?” কিন্তু অভিযোগ, তাঁর কথা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়। বহুবার অনুনয়-বিনয় করার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উল্টে পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ।

অনেকক্ষণ ধরে টানটান পরিস্থিতি চলার পর অবশেষে পরিবার বাধ্য হয়ে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই ঘটনা এক রোগীর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। অন্যান্য রোগীর পরিবারের সদস্যরাও ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই, অথচ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে। গরিব মানুষের পক্ষে যা অসম্ভব।

এখন প্রশ্ন উঠছে—যখন এক রোগী অ্যাম্বুলেন্সে ছটফট করছিলেন, আর তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য হাসপাতালের ভেতরে দৌড়োদৌড়ি করছিলেন, তখন হাসপাতালের মানবিকতা কোথায় গেল?

অভিযোগের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ghanty

Leave a comment