আসানসোল: আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত ফৈজে আম পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হোলি ও রমজান উপলক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুই সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য উৎসবের সময় শান্তি বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো।

🚔 পুলিশের কড়া বার্তা: বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা!
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ নস্কর সবার উদ্দেশ্যে বলেন, “হোলি ও রমজান আনন্দের উৎসব, তবে কেউ যদি শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
👉 সম্প্রীতি রক্ষায় পুলিশ জনগণের সহযোগিতা চায়
👉 অসামাজিক কার্যকলাপ দেখলেই পুলিশকে দ্রুত খবর দিন
👉 বিশেষ নজরদারির জন্য অতিরিক্ত পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থা

🏵 সম্প্রদায়িক নেতাদের বার্তা: “আসানসোল বরাবরই সম্প্রীতির শহর!”
এই শান্তি বৈঠকে আসানসোল পৌরনিগমের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস.এম. মুস্তাফা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “এই শহর বরাবরই সম্প্রীতির প্রতীক, যেখানে হিন্দু ও মুসলিমরা মিলেমিশে উৎসব পালন করে।”
👉 হোলির সময় কারও ওপর জোর করে রং না লাগানোর অনুরোধ
👉 রমজানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আবেগের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান

🔐 উৎসবের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি!
✅ উৎসবের সময় অতিরিক্ত পুলিশ টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
✅ বিশৃঙ্খলতা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি
✅ সমাজের প্রবীণদের সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহযোগিতার আহ্বান
পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং যদি কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়ে, তাহলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

🔮 পুলিশের বার্তা: “উৎসব আনন্দের, শান্তি বজায় রাখুন!”
“হোলি ও রমজান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উৎসব। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে উৎসব উপভোগ করুন। কেউ যদি শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে!” – বিশ্বজিৎ নস্কর, এসিপি (সেন্ট্রাল), আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট