‘ভাগ মিলখা ভাগ’! নেত্রীকে দেখেই দৌড় সিভিক পুলিশের—বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ

single balaji

আসানসোল।
পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ও সিভিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যেখানে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে, তার মাঝেই মঙ্গলবার সকালে ঘটে গেল আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভায় জনসংযোগ করতে গিয়ে এক মহিলা রাজনৈতিক নেত্রী এমন এক দৃশ্য দেখলেন যা পুরো ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

তিনি অভিযোগ করেন—ঘাঘরবুড়ি মন্দিরের সামনে জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে প্রকাশ্যে টাকা আদায় করছিল একদল সিভিক পুলিশ। কিন্তু চমক এখানেই শেষ নয়। তাঁকে দেখতে পেয়েই তিনজন সিভিক পুলিশ ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ স্টাইলে দৌড়ে সটকে পড়ে।

❗ “আমাকে দেখেই পালালো কেন? আমি কি প্রশ্ন করব ভাবতেই ভয় পেয়ে গেল?”

মহিলা নেত্রীর ক্ষোভ—
“আমি একজন মহিলা। আমাকে দেখেই তিন সিভিক পুলিশ পালায় কেন? ডিউটি কি আমাকে দেখলেই শেষ হয়ে যায়? নাকি জানত—আমি প্রশ্ন করব?”

🚨 ট্রাফিক পুলিশও অভিযুক্ত—অজয় রায় ও বিনয় কুমার সিং-কে ঘিরে অভিযোগ

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের দাবি, ব্যারিকেড তুলে টাকা তোলার কাজটাকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছিল স্থানীয় ট্রাফিক থানার অজয় রায় এবং বিনয় কুমার সিং।

নেত্রীর আক্রমণ—
“মহিলা সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা সব ছাপিয়ে, সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে টাকা তোলা—এটা কি নতুন শিল্প? নাকি এটাই মাননীয়ার প্রেরণা?”

😡 “এটা নতুন কিছু নয়”—বলছে স্থানীয়রা

স্থানীয়দের অভিযোগ—
“এভাবে টাকা তোলা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। কিন্তু কেউ মুখ খুললেই হয়রানি হয়।”

⚠ সিস্টেমকে আস্থা নয়, ভয় ঢেকে ফেলছে!

ঘটনার পর রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত।
অভিযোগ উঠছে—
“সিভিক পুলিশ এখন জনগণের সাহায্যকারী নয়—রাস্তায় রোজগারকারী বাহিনী হয়ে উঠছে।”

🔍 ঘটনার তদন্ত হবে কি? প্রশাসন নীরব

ঘটনার ভিডিও ও ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
কিন্তু প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি।

ghanty

Leave a comment