আসানসোল, ১৭ অক্টোবর:
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলা টোটো ও ই-রিকশা নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে।
রাজ্যের পরিবহন দপ্তর জানিয়েছে, শহরের রাস্তায় এখন থেকে কোনও ই-রিকশা নম্বর ও পারমিট ছাড়া চলতে পারবে না।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসকের দফতরে শুক্রবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, ট্র্যাফিক পুলিশ, ই-রিকশা শোরুম মালিক, পরিবহন ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
🏛️ প্রশাসনের কড়া নির্দেশ: “বিনা পারমিট গাড়ি আটকানো হবে”
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে —
যেসব ই-রিকশা চালক অনুমোদিত শোরুম থেকে বৈধভাবে গাড়ি কিনেছেন,
তাঁদের সরকার নম্বর ও রুট পারমিট প্রদান করবে।
এছাড়াও, প্রতিটি রিকশার চলাচলের নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেওয়া হবে।
যেসব গাড়ি নম্বর ছাড়া বা অবৈধভাবে চলছে, সেগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক বিভাগকে।
🚦 শহরে টোটো-অটো বিরোধে চরম বিশৃঙ্খলা
আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে বিবাদ বেড়েই চলেছে।
অসংখ্য টোটোর অবাধ চলাচলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বাস ও মিনি বাস চালকরাও অভিযোগ করেছেন যে, এই অবৈধ ই-রিকশাগুলিই
যানজট ও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
⚙️ ‘স্মার্ট’ ট্রাফিক ব্যবস্থা গঠনের পরিকল্পনা
প্রশাসন জানিয়েছে, শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এবার আধুনিক ব্যবস্থা আনা হবে।
স্মার্ট রুট ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ডিজিটাল পারমিট মনিটরিং চালু করা হতে পারে,
যাতে প্রতিটি ই-রিকশা নির্দিষ্ট রুটেই চলতে পারে।
🧑🔧 বেকারত্ব বনাম ট্রাফিক: দুই দিকেই নজর
বৈঠকে উপস্থিত এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন —
“আসানসোল শহরে ই-রিকশা বহু বেকার যুবকের রুজির পথ খুলে দিয়েছে,
তাই আমাদের উদ্দেশ্য শাস্তি নয়, সুশৃঙ্খলতা ও ভারসাম্য আনা।”
সরকারের লক্ষ্য হলো,
- বেকার যুবকদের জীবিকা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,
- আবার শহরের যানজটও যেন নিয়ন্ত্রণে আসে।
📣 নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন,
“ই-রিকশা চলাচলে মানুষের সুবিধা হয়েছে বটে,
কিন্তু নিয়ম ছাড়া চলাচলে শহর আজ জ্যামে থমকে যায়।
সরকারের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।”
🌐 উপসংহার
এই প্রশাসনিক বৈঠক আসানসোল শিল্পাঞ্চলের জন্য একটি নতুন সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এখন নজর থাকবে, সরকারের কঠোর নীতিতে
শহরের যানজট কতটা কমে এবং বেকার যুবকেরা কতটা সুফল পান।












