৪ মাসের সংসার শেষ মৃত্যুতে – স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

unitel
single balaji

আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল অন্ডাল থানার অন্তর্গত বঙ্কোলা তারবাঙ্গলা এলাকা থেকে উঠে এসেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। চার মাস আগে বিয়ে হওয়া জ্যোতি দেবীকে মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য স্বামী কুন্দন পাশওয়ান এবং তার পরিবার মিলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জ্যোতির বাবা নরেশ পাশওয়ান এবং মা ফুলওয়ন্তি দেবী (বাসিন্দা – লখিসরাই, বিহার) অন্ডাল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তাদের অভিযোগ, ২০২৫ সালের ২৯ মে কুন্দন পাশওয়ানের সঙ্গে বড় আশা নিয়ে মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়েতে ৩ লক্ষ টাকা, সোনা-রুপোর গহনা ও গৃহস্থালির সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ৫০ হাজার টাকা বাকি থেকে যায়।

এর পর থেকেই কুন্দন পাশওয়ান, তার বাবা-মা, ভাই, বোন এবং দুলাভাই মিলে ওই টাকা চেয়ে ফোন করতে থাকে। হুমকিও দেয় যে টাকা না দিলে জ্যোতিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বা খারাপ পরিণতি হবে।

রবিবার সকাল ৬ টা নাগাদ কুন্দন ফোন করে জানায়, জ্যোতি আত্মহত্যা করেছে। এমনকি মৃতদেহের ছবিও পাঠায় এবং বলে গিয়ে লাশ নিয়ে যেতে।

তিন দিন হাসপাতালেই পড়ে ছিল জ্যোতির মৃতদেহ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতির মৃতদেহ তিন দিন ধরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পড়ে ছিল, কেউ খোঁজও নেয়নি। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের পর বাবা-মা এসে মেয়ের দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফুলওয়ন্তি দেবী বুক চাপড়াতে চাপড়াতে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন – “আমার মেয়ের প্রাণের দাম কি ৫০ হাজার টাকা ছিল?”

বর্তমানে অন্ডাল থানার পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় মহিলাদের সংগঠন ও সমাজকর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক ফোন রেকর্ড ও সাক্ষ্যপ্রমাণ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

ghanty

Leave a comment