বুধবার ভোরবেলা আসানসোল শিল্পাঞ্চল ঘন কুয়াশার মোটা চাদরে ঢাকা পড়ে, যার প্রভাব জনজীবনের উপর ব্যাপকভাবে পড়ে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু ও তাদের পরিবহনের জন্য সমস্যা দেখা দেয়। স্কুল ভ্যান ও অন্যান্য গাড়ির চালকরা ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তার অস্পষ্টতার সঙ্গে লড়াই করতে দেখা যায়। বাচ্চারা স্কুলে দেরিতে পৌঁছায়, এবং অভিভাবকরাও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হন।
হাইওয়েতে যানজট, গতি থমকে
১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির গতি খুবই ধীর হয়ে যায়। চালকরা হেডলাইট এবং ফগ লাইট চালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং একটানা হর্ন বাজাচ্ছিলেন।
শহরের ভেতরে পরিস্থিতি আরও জটিল

শহরের ভেতরের রাস্তার অবস্থাও ভালো ছিল না। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই ছিল যে পথচারীদেরও রাস্তা দেখতে সমস্যায় পড়তে হয়। বাজারগামী ও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজের জন্য বের হওয়া মানুষদেরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
ঠান্ডা আর কুয়াশার যুগলবন্দি
কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ জনজীবনকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। কর্মীরা সময়মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। অতিরিক্ত সময় নিয়ে ও সতর্কতা বজায় রেখে তাদের কাজ সম্পন্ন করতে বাধ্য হতে হয়।
প্রশাসনের সতর্কতা
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন চালকদের সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে।