আসানসোল, ৩১ অক্টোবর: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী-র ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আসানসোল সাউথ ব্লক কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে এক শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার আয়োজন করা হয়।
এই উপলক্ষে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেস নেতা শাহ আলম বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী এমন এক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি কঠিনতম পরিস্থিতিতেও দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে এবং বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও আত্মনির্ভরতার জন্য তিনি বহু ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন।”
তিনি আরও বলেন, “‘দারিদ্র্য হটাও’ স্লোগান দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে দেশের নীতিনির্ধারণে পৌঁছে দিয়েছিলেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্র মানুষের সম্মানের জন্য তাঁর সংগ্রাম আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর নেতৃত্ব, দূরদৃষ্টি ও রাজনৈতিক সাহস আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।”
🌹 শ্রদ্ধাঞ্জলি সভায় উপস্থিতি ও আবেগঘন পরিবেশ:
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বহু কংগ্রেস নেতা, মহিলা কংগ্রেস সদস্য ও যুব কংগ্রেস কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকলেই একবাক্যে বলেন, “ইন্দিরা গান্ধীর জীবন ছিল ত্যাগ, সাহস ও দেশপ্রেমের প্রতীক। তাঁর দেখানো পথে চলাই তাঁকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।”
সভাস্থলে “ইন্দিরা অমর রহে” স্লোগানে মুখর ছিল পরিবেশ। কর্মীরা ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক কীর্তি—যেমন ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প—নিয়ে তৈরি পোস্টারও প্রদর্শন করেন।
শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং দেশবাসীর প্রতি তাঁর আদর্শে অবিচল থাকার আহ্বান জানানো হয়।
💬 নেতাদের বার্তা:
শাহ আলম বলেন—
“আজকের প্রজন্মের কাছে ইন্দিরা গান্ধী শুধুমাত্র একজন রাজনীতিক নন, তিনি এক চেতনা, এক অনুপ্রেরণা। তাঁর নীতিই আজকের ভারতের মেরুদণ্ড।”

















