আসানসোল রেলওয়ের ওপারে চাঁদমারী অঞ্চলের সাময়িক দোকানদাররা আজও পুনর্বাসনের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এক বছর আগে PWD (জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ) উন্নয়ন কাজের নাম করে তাঁদের ১৭টি দোকান ভেঙে দেয়। তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, খুব শিগগিরই বিকল্প জায়গায় দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও দোকান মেলেনি, মেলেনি কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যও।
🧾 কী ঘটেছিল ঠিক এক বছর আগে?
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে, চাঁদমারী এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ১৭টি সাময়িক দোকান ভেঙে ফেলা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ‘‘সাময়িক সরুন, পরে আপনাদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হবে বিকল্প স্থানে।’’ কিন্তু এখন সেই প্রতিশ্রুতি কেবল কথাতেই সীমাবদ্ধ।
😔 বাঁচার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে – অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের:
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন,
“এই দোকানই ছিল আমাদের একমাত্র রুজি-রোজগারের উপায়। এখন সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কতবার PWD অফিসে গেছি, শুধু বলেছে অপেক্ষা করুন। আর কতদিন?”
📣 ব্যবসায়ী সংগঠন ও সাধারণ মানুষের দাবি:
- শীঘ্রই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে আন্দোলনের পথেই হাঁটবে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
- এই অবহেলা অব্যাহত থাকলে আসানসোলের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
🗣️ জনমত কি বলছে?
স্থানীয় মানুষ বলছেন,
“যেখানে ব্যবসা করতেন সেই মানুষগুলো আজ কর্মহীন। এটা এক রকম প্রশাসনিক অবহেলা।”
এখন প্রশ্ন—এতদিন পরও কেন পূরণ হল না প্রতিশ্রুতি? ব্যবসায়ীদের অধিকার ফিরবে কবে?
সব কিছুর উত্তর সময়ই দেবে, তবে অসন্তোষের আগুন এখন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে চাঁদমারীতে।