আসানসোল: বুধবার দুপুরে শহরের অন্যতম ব্যস্ততম কেন্দ্র বস্তিন বাজারে আচমকা শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে বাজার জুড়ে ধোঁয়া আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানদার থেকে ক্রেতা—সকলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ইঞ্জিন ও পুলিশ। দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সৌভাগ্যবশত বড় ধরনের কোনো প্রাণহানির খবর নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎই বাজারের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক দোকানে। দমকল বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই প্রথম নয়—বস্তিন বাজারে অতীতে বহুবার আগুন লেগেছে। তবুও বাজারে অতিক্রমণ, সরু রাস্তা আর বিদ্যুতের তারের অব্যবস্থার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক দুই-ই বেড়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা শাহ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শাহ আলম বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিকে দায়ী করে বলেন—
“আজ ঈশ্বরের কৃপায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। কিন্তু আসানসোল শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার এলোমেলোভাবে ঝুলে আছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে যেকোনো দিন ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।”
অন্যদিকে চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় দমকল ও বিদ্যুৎ দপ্তরের সময়োচিত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন—
“তাদের তৎপরতার জন্যই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে বাজার এলাকার সমস্ত বৈদ্যুতিক তার ও সংযোগকে সুষ্ঠুভাবে সাজানো হবে।”
এই ঘটনা ফের একবার আসানসোল শহরের বিদ্যুৎব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল। স্থানীয়রা এখন একটাই দাবি তুলেছেন—“অবিলম্বে বাজার থেকে অতিক্রমণ সরানো হোক, আর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি করা হোক।”