আসানসোল:
ঝিঞ্ঝরি মহল্লা এলাকায় এআইএমআইএম–এর সভা চলাকালীন বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হল যখন হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ–এর উপর একের পর এক ডিম ও পাথর ছুঁড়ে মারে। উপস্থিত জনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সভামঞ্চে অস্থায়ী বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
🔥 বাবরি বিতর্ক ও নতুন রাজনৈতিক জোট—এর মাঝেই হামলা!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই হামলার সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কিছুদিন আগেই রেজিনগরের বেলডাঙায় তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ূন কবীর প্রকাশ্যে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নতুন দল গঠনের পাশাপাশি এআইএমআইএমের সঙ্গে জোটে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন।
এরপর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে এআইএমআইএম ব্যাপক প্রচারসভা শুরু করলে উত্তর বিধানসভা এলাকায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
🚨 সভাস্থল দখলের চেষ্টা?—টোটো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল
স্থানীয় মানুষ জানান, সভা শুরুর আগেই কেউ পরিকল্পিতভাবে সভাস্থলে একটি টোটো পার্ক করে রেখে সভা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।
তবুও এআইএমআইএম নেতারা রাস্তার উপরই সভা শুরু করেন, আর জনতা রাস্তার দুইধারে দাঁড়িয়ে ভাষণ শোনেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দার কথায়—
“সভার পরিবেশ শুরু থেকেই অস্বাভাবিক ছিল। মনে হচ্ছিল কেউ যেন ইচ্ছে করেই গোলমাল বাঁধানোর অপেক্ষায় আছে।”
⚡ দানিশ আজিজের বিস্ফোরক অভিযোগ — “তৃণমূল ভয়ে কাঁপছে”
হামলার পরে জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ স্পষ্টভাবেই বলেন—
“এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে।
আমাদের বৃদ্ধি দেখে তারা আতঙ্কিত।
ডিম–পাথর ছুঁড়ে এআইএমআইএমকে থামানো যাবে না।
আমরা বাংলার মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”
তিনি আরও জানান, দল এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে।
📌 উত্তর বিধানসভায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ
এই এলাকা তৃণমূলের শক্তঘাঁটি; স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।
তাদের এলাকায় এআইএমআইএম–এর জমায়েত এবং তার মধ্যেই হামলার ঘটনা রাজনৈতিকভাবে বড় বার্তা দিচ্ছে।
রাজনীতিবিদদের ভাষায়—
“২০২৬–এর লড়াই আগাম শুরু হয়ে গেছে।”












