আসানসোলের ধধকা এলাকার এজি চার্চ স্কুলে বুধবার প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়, যখন হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে যে স্কুলের প্রিন্সিপালকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। খবরটি জানাজানি হতেই বহু অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখান।
প্রতিবাদীদের অভিযোগ, বর্তমানে স্কুলে পরীক্ষা চলছে এবং এমন সময় প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। অভিভাবকদের দাবি, বর্তমান প্রিন্সিপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্কুলের শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান উন্নত হয়েছিল। তাই হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত ছাত্র-অভিভাবকদের কাছে একেবারেই অযৌক্তিক।
অন্যদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত প্রিন্সিপাল অপসারণের কোনো স্পষ্ট কারণ জানায়নি। কেবলমাত্র জানানো হয়েছে, “সঠিক সময়ে সব জানানো হবে।” এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ যখন চরমে পৌঁছায়, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ স্কুল প্রাঙ্গণে পৌঁছায় এবং উত্তেজনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, অভিভাবক ও স্থানীয়দের ক্ষোভ এখনও প্রশমিত হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রিন্সিপালকে সরানো নিয়ে স্কুল ম্যানেজমেন্টের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। অনেকের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত তারই ফল।
এখন প্রশ্ন উঠছে—পড়াশোনার মাঝপথে কেন এমন আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? শিক্ষার্থীরা বলছে, “যদি পরীক্ষার সময়ে প্রিন্সিপালকে সরানো হয়, তাহলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে।” অভিভাবকদের একাংশ সরাসরি দাবি তুলেছেন—“প্রিন্সিপালকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করা হোক, অথবা অপসারণের পেছনের প্রকৃত কারণ প্রকাশ্যে আনা হোক।”
এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় এজি চার্চ স্কুলকে ঘিরে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়।












