আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গ: এলআইসি অফিসের কাছে অবস্থিত আসানসোলের এজি চার্চে শনিবার গভীর রাতে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। চার্চে প্রবন্ধ কমিটির লাগানো তালা নিয়ে চলা দীর্ঘদিনের বিতর্কের মধ্যেই অঞ্জুমান ও কৈলাশ নামের দুই ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে চার্চের ভেতরে প্রবেশ করে।

সূত্রের খবর, তারা রবিবার প্রার্থনার প্রস্তুতি নেওয়ার উদ্দেশ্যে চার্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে শুরু করে। এই খবর পেয়ে এজি চার্চের প্রবন্ধ কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং চার্চের প্রহরীদের কাছে বাইরের গেট খুলে দেওয়ার আবেদন করেন।

⚖️ তালা ভাঙা ও দখলচেষ্টার অভিযোগ

প্রবন্ধ কমিটির সদস্যদের দাবি, এই গোটা ঘটনাই একটি “পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র”।
তাদের অভিযোগ —

“কিছু ব্যক্তি ‘AGNI’-এর নাম ব্যবহার করে বাইরের লোকজন জড়ো করছে এবং চার্চের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে ১৪৪ ধারা জারি করিয়ে এখন রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে চার্চে ঢোকা হয়েছে — সবটাই পরিকল্পনা।”

প্রবন্ধ কমিটি জানিয়েছে, তারা আইনি লড়াই লড়বে এবং যাঁরা বেআইনি ভাবে চার্চে ঢুকেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

🚨 পুলিশের তৎপরতা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা

খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। চার্চ প্রাঙ্গণে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ প্রবন্ধ কমিটির সদস্যদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেয় এবং সেখান থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে। পুলিশ জানায়,

“যদি তারা সরে না যান, তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এরই মধ্যে অঞ্জুমান ও কৈলাশ চার্চ থেকে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

🙏 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে,

“ধর্মীয় স্থানে এমন হাঙ্গামা অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”

🗣️ সমাপ্তি:

আসানসোলের এজি চার্চ এখন এক নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে। ধর্ম, দখল ও নেতৃত্ব নিয়ে চলা এই টানাপোড়েনের ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, তবে স্থানীয়রা এখন প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের অপেক্ষায়।