• nagaland state lotteries dear

আসানসোল গ্রামে ৩৩০ বছরের গাজন উৎসব: আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মিলনমেলা

🪔 আসানসোল গ্রামে গাজনের ৩৩০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল গ্রামে এবছর উদযাপিত হল ৩৩০ তম গাজন উৎসব। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি ভক্তি, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
উৎসবের নেতৃত্বে ছিল শ্রী শ্রী নীলকণ্ঠেশ্বর জিউ দেবত্র ট্রাস্ট এবং গাজন ফেস্টিভ্যাল সেলিব্রেশন কমিটি। আধুনিকতার মাঝেও এই উৎসব আজও তার শিকড়ে আবদ্ধ।

👨‍👩‍👧‍👦 প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি মানুষ – একেকজন সন্ন্যাসী
এই গাজন উৎসবে গ্রামের সমস্ত পুরুষ ও মহিলা অংশগ্রহণ করেন ‘গাজন ভিক্ষু’ রূপে। এটি শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং গোটা গ্রামের এক জীবনধারা।

📿 সূচনা থেকে সমাপ্তি – সাতদিনের এক আধ্যাত্মিক যাত্রা
উৎসবের সূচনা হয় নকর রায় ও রামকৃষ্ণ রায়ের মাধ্যমে বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বৃহস্পতিবার শিব মন্দিরে গাজন ভিক্ষুদের কসম খাওয়ানো হয়। শুক্রবার ‘বনেশ্বর’ এর নিদ্রা অনুষ্ঠান এবং পরমা নগরে মহা শোভাযাত্রা বের হয়।

🛕 রামসাই পুকুর থেকে শিবদোলা, ধুনোবাসদের রাতভর নৃত্য
রবিবার ছিল শ্রী শ্রী নীলকণ্ঠেশ্বরের পূজা ও হোম-যজ্ঞ। দুপুরে ঠাকুরের জোড়া এবং বিকালে রামসাই পুকুর থেকে শিবদোলা সহ গাজন ভিক্ষুরা মন্দিরে আসেন। রাতভর চলে ধুনোবাসদের ধুনো-নৃত্য ও পুজো।

🌈 জাত-ধর্ম নির্বিশেষে অংশগ্রহণ – সম্প্রীতির প্রতীক
কমিটির সম্পাদক অতীশবরণ রায় ও সমর রায় জানান, এই উৎসবে ধর্ম বা জাতের ভেদাভেদ নেই। সাত দিন ধরে চলে শিবমন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান – বাউল, যাত্রাপালা, লোকনৃত্য। Federation of South Bengal Chambers of Commerce and Industry(FBCCI)এর অধ্যক্ষ সচিন রায় এই গাজন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। সচিন রায় জানান “যেখানে ভক্তি আছে, সেখানেই থাকে ঐতিহ্য—গাজন কেবল উৎসব নয়, আত্মার সঙ্গে যুক্ত সংস্কার।”

🎭 নাটকের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে
কলকাতায় পড়তে যাওয়া আসানসোল গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চস্থ করেন নাটক — “রাজার ফাঁদে রায়বাঘিনী কাঁদে” এবং “মেয়েটি” (পরিচালনায় সুবাস সমিতি)। যা দর্শকদের মধ্যে বিপুল প্রশংসা পায়।

ghanty

Leave a comment