আসানসোল/চৌরঙ্গী:
আসানসোল আদালতের আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং পরিবহন দপ্তরের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি—চৌরঙ্গী এলাকায় বাইরের রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলিকে অযথা ‘অভারলোড’ বলে হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই জরিমানা নগদে দিতে হচ্ছে এবং গাড়ি পিছু দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে যার কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
আইনজীবীর অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েক দিন আগে এক ট্রাক মাঝরাস্তায় থামিয়ে ৩০,০০০ টাকা জরিমানা দাবি করে আধিকারিকরা। চালক টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২,০০০ টাকা নগদ নেওয়া হয় এবং গাড়ির কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে পরিবহন দপ্তরের পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ির মালিক যখন বলেন অতিরিক্ত পণ্য নেই তখনও গাড়ি মুক্তি পায়নি। বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং ঘটনাস্থলে গেলে তাকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ লিখিত আকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পরিবহন দপ্তর এবং আসানসোলের পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে আসানসোল আদালতে চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন উক্ত আইনজীবী।
ড্রাইভারদের ক্ষোভ ও দাবিঃ
চৌরঙ্গী অঞ্চলের একাধিক ট্রাকচালকের দাবি, বাইরের রাজ্যের গাড়ি এলেই অযথা জরিমানা করা হয়, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়, পার্কিংয়ে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং টাকা নেওয়া হলেও কোনো রসিদ দেওয়া হয় না। “এই সব অভিযোগের কোনও তদন্ত হয় না, ফলে দমননীতি বাড়ছে”— অভিযোগ চালক মহলের।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াঃ
পশ্চিম বর্ধমান জেলার এডিএম জেনারেল সুহাসিনী ই জানিয়েছেন, “সরকারকে টাকা দিলে তার রসিদ পাওয়া যাবেই। যদি এ রকম কোনো অভিযোগ ওঠে, প্রশাসন লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে।”
শিল্পাঞ্চলে চাঞ্চল্যঃ
সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা শিল্পাঞ্চলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অনেকের মতে, এ ধরনের মামলা হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চালকদের কণ্ঠ আরও জোরদার হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীরাও নজর রেখেছেন প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে।












