৬০০ হেক্টর বনাঞ্চল ধ্বংসের পথে? অরুণাচলে কয়লা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ

ইটানগর: অরুণাচল প্রদেশের চাংলাং জেলার খারসাং এলাকায় হাজার হাজার মানুষ নামচিক ইস্ট ও ওয়েস্ট কয়লা খনন প্রকল্পের নিলামের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

⚠️ ৩,০০০ মানুষ উচ্ছেদের আশঙ্কায় উত্তাল এলাকা!

লংটম-I ও II, পাঞ্চুন এবং ইঞ্জিন গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই খনন প্রকল্প ৫০০টি পরিবারের ৩,০০০ মানুষকে উচ্ছেদ করতে পারে, যা তাদের ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করবে।

WhatsApp Image 2024 11 06 at 3.27.55 PM

এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় ইঞ্জিন, পাঞ্চুন, লংটম-I ও লংটম-II কমিটি (IPLLC)। তারা মিয়াওয়ের অতিরিক্ত জেলা উপকমিশনারের (ADC) মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে এবং অবিলম্বে এই নিলাম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

🚨 সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনো পরামর্শ ছাড়াই শুরু হয়েছে নিলাম!

ushasi foundation

প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, প্রভাবিত এলাকাবাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনাই না করে সরকার এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে। IPLLC দাবি করেছে যে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঠিক সংখ্যা হিসেব করেনি।

🌳 ৬০০ হেক্টর জমি ধ্বংসের পথে! পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

IPLLC-এর সভাপতি সেমখুম টংলিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে এই খনন প্রকল্প ৬০০ হেক্টরেরও বেশি জমিকে প্রভাবিত করবে, যা পুরো এলাকার জনসংখ্যা এবং পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, লংটম-I এবং II গ্রাম স্বাধীনতার আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এগুলি “Unclassified State Forest” হিসেবে চিহ্নিত। এখানে ১৬০টিরও বেশি পরিবার বসবাস করে, যারা দীর্ঘ প্রজন্ম ধরে কৃষি এবং বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল। তাদের বলপূর্বক উচ্ছেদ করা হলে তা সংবিধানিক অধিকার, ২০০৬ সালের বন অধিকার আইন এবং ১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন হবে।

shivam

🔥 আন্দোলন আরও তীব্র হবে, হুঁশিয়ারি IPLLC-এর!

IPLLC স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে যদি সরকার তাদের দাবি না মানে, তাহলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

⏳ নিলাম কি বন্ধ হবে? সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে নজর!

abs academy of nursing

নামচিক ইস্ট এবং নামচিক ওয়েস্ট কয়লা ব্লকগুলি নামচিক-নামফুক কয়লা অঞ্চলের অন্তর্গত। এখানে ৪৫.৮ মিলিয়ন টন কয়লার ভাণ্ডার রয়েছে এবং এই অঞ্চলটি ৬০০ হেক্টরে বিস্তৃত।

সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি প্রযুক্তিগত দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এবং ৩ মার্চ চূড়ান্ত নিলামের পরিকল্পনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই বিশাল প্রতিবাদ নিয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

ghanty

Leave a comment