অন্ডাল: পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানার অন্তর্গত বানিয়াডিহ এলাকায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, এক গৃহশিক্ষক তাঁর সাত বছরের ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করেছেন। ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
জানা গেছে, নির্যাতিত শিশুটির বাবা বানিয়াডিহের বাসিন্দা রবি মাঝি। তিনি আন্দাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক নীড়জ মোদিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বাড়ি পারাসিয়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, পড়াশোনা ঠিকমতো না করায় এবং পাঠ মুখস্থ না হওয়ায় ওই গৃহশিক্ষক শিশুটিকে বেধড়ক মারধর করেন। শিশুটির বাবা জানান, শিক্ষক তাঁর ছেলেকে চড়, ঘুষি মারেন এবং মাটিতে ফেলে দিয়েও আঘাত করেন। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, পড়া না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে আচমকাই শিশুটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করেন অভিযুক্ত।
ভিডিওটি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নেটিজেনরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, পড়াশোনার নামে শিশুদের উপর এই ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন কতটা নিরাপদ সমাজের জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। শিশুটির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এই ঘটনার পর অভিভাবকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, গৃহশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কড়া নজরদারি ও সচেতনতা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কোনও শিশুকে এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে না হয়।











