[metaslider id="6053"]

আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে গায়েব ৩২১ প্রাণী, তদন্তে দুর্নীতির গন্ধ!

কলকাতা: দেশের প্রাচীনতম চিড়িয়াখানা আলিপুর জুলজিক্যাল গার্ডেনে বিরল প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা নিয়ে বিশাল অসঙ্গতি প্রকাশ্যে এসেছে। সরকারি নথি অনুসারে, ১ এপ্রিল ২০২৪-এ প্রাণীর সংখ্যা ছিল ৩৫১, অথচ ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ৩১ মার্চ ২০২৪-এ সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ৬৭২। তাহলে হঠাৎ করে কোথায় গেল ৩২১টি প্রাণী?

শুধু তাই নয়, একসময় রাজ্যে ৬০টি চিড়িয়াখানা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৭টি অনুমোদিত। বাকি চিড়িয়াখানাগুলোর প্রাণী কোথায় গেল—তা নিয়েও নেই কোনো তথ্য!

পরিবেশবিদদের দাবি, নিখোঁজ প্রাণীদের কালোবাজারি করে প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ বেচাকেনা হয়েছে বলে আশঙ্কা। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এই প্রাণীরা কি গুজরাটের অম্বানি প্রাইভেট চিড়িয়াখানায় পাচার হয়ে গেছে?

📍আনুমোদিত ৭টি চিড়িয়াখানা:

  1. আলিপুর জুলজিক্যাল গার্ডেন, কলকাতা
  2. পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক, দার্জিলিং
  3. রামনাবাগান জু, বর্ধমান
  4. গড় চুমুক হরিণ পার্ক, হাওড়া
  5. হরিণালয়, নিউটাউন
  6. রাসিকবিল মিনি জু, কোচবিহার
  7. সুরুলিয়া মিনি জু, পুরুলিয়া

বেঙ্গল সাফারি পার্ক, শিলিগুড়ি একটি প্রাইভেট উদ্যোগ, যেখানে পশু স্থানান্তর সম্পূর্ণ বেআইনি।

পরিবেশবিদ ও Sanctuary Asia সম্পাদক বিত্তু সহগল জানান—“সারা ভারতে প্রতিটি চিড়িয়াখানার জন্ম-মৃত্যুর রেজিস্টার জনসমক্ষে আনা উচিত। জনসাধারণ জানতেই পারছে না, আসলে কত পশু কোথায় যাচ্ছে।”

পরিবেশ আন্দোলনকারী নবা দত্ত বলেন— “এই ঘটনার পেছনে বড় আন্তর্জাতিক ট্র্যাফিকিং চক্র থাকতে পারে। আলিপুর চিড়িয়াখানার জমিও এখন বিলাসবহুল রিয়েল এস্টেটের নিশানায়।”

পিআইএল দায়ের করল স্বজন:
Concerned Citizens-দের সংগঠন স্বজন কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ, চিড়িয়াখানার জমি বিক্রি করে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতাল ও অডিটোরিয়াম ভেঙে বহুতল নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।

📣 বিশিষ্টজনদের বক্তব্য:

  • দীপ্তি ভাটনগর (অভিনেত্রী ও প্রাণিপ্রেমী): “আমি পশু বন্দিত্বের বিরোধী। এমন অভিযোগ দুঃখজনক।”
  • সৌরভ চক্রবর্তী (বিজ্ঞান কর্মী): “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। সিআইটিইএস ও ভারতের আইন মেনে চলা তো দুরে থাক, বন্যপ্রাণ রক্ষা ব্যুরোও নিষ্ক্রিয়।”

⛔ আলিপুর চিড়িয়াখানা কি আন্তর্জাতিক চক্রের কেন্দ্রে?
এই প্রশ্ন এখন জোরালো হচ্ছে, কারণ যা ঘটছে, তা শুধু একটি চিড়িয়াখানার সমস্যা নয়—এটি দেশের জীববৈচিত্র্য, আইন ও নৈতিকতার প্রশ্ন।

ghanty

Leave a comment