পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়া বিধানসভা এলাকার চিচুড়িয়া পঞ্চায়েত অন্তর্গত বাগডিহা গ্রামে ঘটে গেল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজয় নদীর তীরে হঠাৎই একটি শিবলিঙ্গ দেখা যায়। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়। নদী থেকে শিবলিঙ্গটি তুলে এনে গ্রামে স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে শিবলিঙ্গ দর্শনের জন্য।
বাগডিহা হাইস্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা উদয় বাউরি প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও বিকেল পাঁচটা নাগাদ অজয় নদীতে স্নান করতে যান। তার সঙ্গেই ছিলেন আরও কয়েকজন যুবক। স্নানের সময় নদীর ধার ঘেঁষে একটি বড় শিলাখণ্ড তাদের নজরে আসে। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন এটি সাধারণ পাথর। কিন্তু কয়েকজন মিলে যখন সেটি উঠিয়ে দেখেন, তখন হতবাক হয়ে যান। এটি কোনও পাথর নয়, স্বয়ং মহাদেবের শিবলিঙ্গ!
উদয় বাউরি জানান, “আমরা যখন দেখলাম এটি শিবলিঙ্গ, তখনই গ্রামের মানুষদের খবর দিই। পরে সকলের উদ্যোগে এটি নদী থেকে বের করে গ্রামের কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরোহিত ডেকে পূজা-অর্চনা শুরু হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা যাদব পাল বলেন, “এমন ঘটনা আগে কোনওদিন আমাদের গ্রামে ঘটেনি। সারা গ্রাম আনন্দে আত্মহারা। আমরা চাই শিবলিঙ্গটির প্রানপ্রতিষ্ঠা করে একটি মন্দির নির্মাণ করা হোক। যদি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেন, তবে আমরা ভব্য মন্দির গড়ে তুলব।”
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ আসছেন শিবলিঙ্গ দর্শনের জন্য। শরতের পূজা-পার্বণের আবহে এই ঘটনাকে অনেকে ঈশ্বরের বিশেষ আশীর্বাদ বলে মনে করছেন।
একজন প্রবীণ ভক্ত বলেন, “দুর্গাপূজোর আগে বাবা মহাদেব তাঁর আবির্ভাব ঘটিয়েছেন। এ এক বিরল সুযোগ। আমাদের গ্রামের ভাগ্য খুলে গেল।”
বর্তমানে বাগডিহা গ্রাম যেন এক মেলা মাঠে পরিণত হয়েছে। শিবলিঙ্গের চারপাশে ভক্তদের ভিড়, ঢাকের আওয়াজ ও মন্ত্রোচ্চারণে চারদিক গমগম করছে।