📍পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম :
অজয় নদীর উপর নতুনভাবে নির্মিত স্থায়ী সেতু পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র দুই জেলার মধ্যে যাতায়াতই নয়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগ ব্যবস্থাও আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়ে উঠেছে।
প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী, ২০১৭ সালে কাঁকসার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর ঘোষণা করেছিলেন। জমি সংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু বাধার কারণে নির্মাণে কিছু বিলম্ব হলেও অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সেতুটি সম্পূর্ণ হয়েছে।
🏗️ সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- অবস্থান: শিবপুর থেকে ইলামবাজারের টিকরবেটা পর্যন্ত
- দৈর্ঘ্য: ২.৭৩ কিলোমিটার
- নির্মাণ খরচ: ₹১৩৭ কোটি
- উপকার: শান্তিনিকেতনের পথে দূরত্ব কমলো ২২-২৫ কিমি পর্যন্ত
- আগে: ইলামবাজার ঘুরে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া যেতে হতো
- এখন: শিবপুর-মুচিপাড়া রাস্তা ধরে সহজে শান্তিনিকেতন পৌঁছনো যাবে
🎉 উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন:
শিবপুর প্রান্তে সেতুর পাশে তৈরি হয়েছে দুটি পৃথক মঞ্চ — একটিতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা অবস্থান করেন এবং অপরটি সাধারণ মানুষের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ইলামবাজার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়।
গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই সেতুর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে জেলা শাসক, এসডিও, ADDA চেয়ারম্যান সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
🗣️ স্থানীয়দের অভিমত:
সেতুর চালু হওয়ার খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশির হাওয়ায় ভাসছেন। তাঁরা বলছেন, এতে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের যাতায়াতের সুবিধা বহুগুণ বেড়ে যাবে। পর্যটন কেন্দ্র শান্তিনিকেতনের সাথে যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় ব্যবসাও বাড়বে।
🔚 শুধু সেতু নয়, এই প্রকল্প নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলল:
এই সেতু দু’টি জেলার মধ্যকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে, এবং সরকারি প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে।