আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
আসানসোলে জাল নোট কাণ্ডে বড়সড় পদক্ষেপে শনিবার ভোরে AIMIM-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ-কে গ্রেফতার করল পুলিশ। আসানসোল সাউথ ফাঁড়ির পুলিশ উষাগ্রামের হোটেল গ্র্যান্ডের রুম ৩০১০ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল থেকে ১.৫ লক্ষ টাকার জাল নোট, ৬০০টি ব্ল্যাঙ্ক নোট পেপার, নোট ছাপার ডাই এবং একটি আয়রন মেশিন উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ লাল খান নামক আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই জনের বিরুদ্ধে BNS-এর ধারা 213/25, 178, 179, 180, 181, 182, 318/4, 3/5 এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ভারতীয় নোট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
🔍 অতীতেও বিতর্কে ছিলেন দানিশ আজিজ
এর আগেও দানিশ আজিজ বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ-এর এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন, যার তদন্ত এখনও আসানসোল আদালতে চলছে।
🗣️ বাবার দাবি: এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র
এই গ্রেফতারের পর দানিশ আজিজের বাবা আজিজ দাবি করেছেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।” তাঁর অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের এক শীর্ষ নেতার ইশারায় আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দানিশ আজিজ আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং সংখ্যালঘু সমাজের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছিল, যা মলয় ঘটক-এর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারত।”
🗳️ নির্বাচন পূর্বে রাজনীতির আগুনে ঘি
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নয়, বরং রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তদন্তে কী কী নতুন তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
🔥 সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা তুঙ্গে
ঘটনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #DanishAziz, #FakeCurrency, #PoliticalConspiracy ট্রেন্ড করতে শুরু করে। AIMIM সমর্থকরা একে “সংখ্যালঘু নেতার টার্গেটিং” বলছেন, অন্যদিকে শাসকদল ও বিরোধী দল উভয়েই মুখ খুলেছে।