[metaslider id="6053"]

‘এইতো শিক্ষার পরিহাস!’—বাচ্চাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে ছেলেখেলা চলছে, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা পাল

বার্ণপুর: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ মহাত্মা গান্ধী হাই (উচ্চমাধ্যমিক) স্কুলের চরম অব্যবস্থাপনা ঘিরে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বুধবার দুপুরে নিজে গিয়ে স্কুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন— “এটা শিক্ষার নামে প্রতারণা, আর কিছুই নয়।”

বিধায়কের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না। প্রধান শিক্ষক তো বছরে এক–দুইবার এসে দায় সারে! একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা কার্যত শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।

📌 “টিচারদের নির্দিষ্ট টাইম নেই, কিন্তু বাচ্চাদের থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা!”

অগ্নিমিত্রা বলেন, “স্কুলে যারা আসছেন না, তারাও বাইরে টিউশন চালাচ্ছেন। অথচ স্কুলে বাচ্চাদের কাছ থেকে আলাদা করে টাকা নেওয়া হচ্ছে পড়ানোর নামে। সরকার যেখানে স্কুল চালাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে, সেখানে শিক্ষকরাই সময়মতো না এলে তার দায় কে নেবে?”

🛑 “শিক্ষা দফতরে জানানো হবে, প্রয়োজনে রাস্তায় নামব”

বিধায়ক জানিয়ে দেন যে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি শিক্ষা দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করবেন। তিনি আরও বলেন, “যদি এই অবস্থার দ্রুত উন্নতি না হয়, আমি আন্দোলনের পথেও যেতে দ্বিধা করব না।”

👪 অভিভাবকদের আর্তি: “স্কুলে না শেখালে, টিউশনই ভরসা”

স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন মা বলেন, “আমার ছেলে স্কুলে গেলে কিছুই শিখে না। শিক্ষক তো ক্লাসই নেন না। ফলে আমাদের প্রাইভেট টিউশন করাতে হচ্ছে—যা আর্থিকভাবে আমাদের জন্য কষ্টকর।”

⚠️ সরকারি স্কুলের নজরদারিতে প্রশ্ন

এই ঘটনার পর আবারও রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রশাসনিক অব্যবস্থা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতা সামনে চলে এল। শিক্ষা নীতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তা শুধু ছাত্রদের ভবিষ্যতের ক্ষতি নয়, বরং সরকারের ভাবমূর্তিতেও আঘাত হানতে পারে।

🔔 আপনার এলাকায় এমন কোনো স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে এই ধরনের সমস্যা চলছে? আমাদের জানান, যাতে আমরা কণ্ঠস্বর হতে পারি সাধারণ মানুষের।

ghanty

Leave a comment