• nagaland state lotteries dear

“TMC-BJP দু’পক্ষেই ধর্মের নামে ভাঁওতাবাজি চালাচ্ছে” — অধীরের বিস্ফোরণ

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সাংসদ, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বুধবার ব্যক্তিগত কাজে আসানসোল আসেন। সেখানকার সার্কিট হাউসে কিছু সময় অবস্থান করার পর তিনি রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

🔥 “ঈশ্বর নাকি আল্লাহ – আজ সেই উপরের জনের প্রান প্রতিষ্ঠাও করছেন রাজনীতিবিদ!”

অধীর বলেন, “আজ বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে কে কত বড় ধর্মীয় ইভেন্ট করতে পারে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির উদ্বোধন করছেন, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ দেবের পুজোর রাজনীতি করছেন।”

তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “এমন নেতাও পেয়েছি যারা এখন উপরের জনের মধ্যেও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছেন!”

🗳️ ২০২৬-এর ভোটের আগে ‘ধর্মীয় হাইপ’ তৈরি করছে BJP-TMC!

  • অধীর চৌধুরী দাবি করেন, এই সমস্ত কর্মসূচি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনগণকে প্রভাবিত করার একটি চাল।
  • “একইভাবে আগে এনআরসি, সিএএ, রামমন্দির ইস্যু নিয়ে হইচই করা হয়েছিল। তারপর ভোট গেল, সব চুপচাপ। এখন আবার একই নাটক চলছে।”

তিনি বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে যেন তারা রামনামে ডুবে যায় আর বিজেপি ও তৃণমূল দু’পক্ষই ভোটে সুবিধা পায়।”

🏭 “বঙ্গ থেকে পালাচ্ছে শিল্প” — তীব্র আক্রমণ অধীরের

  • অধীর রঞ্জন বলেন, কংগ্রেস সরকারের সময় রাজ্যে শিল্পায়ন হচ্ছিল। বিধান চন্দ্র রায়ের হাত ধরে যে পথচলা শুরু হয়েছিল, তা আজ থমকে গেছে।
  • “আজ ব্যবসা-বাণিজ্য শুধু পেপারে সীমাবদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেঙ্গল বিজনেস সামিট’ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসার দাবি করা হয়, কিন্তু তার বাস্তব প্রতিফলন মেলে না।”

🚨 “TMC সরকারের তিন স্তম্ভ — দুর্নীতি, পুলিশ যোগসাজশ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি”

অধীর চৌধুরীর বক্তব্য:

“আজকের রাজ্য সরকার শুধু এই তিন জিনিসে দাঁড়িয়ে — এক, দুর্নীতি; দুই, পুলিশি সমর্থন; আর তিন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। এর বাইরে কিছুই নেই তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে।”

🧩 নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নাকি চরম বিরোধিতা?

এই বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অধীরের এই আক্রমণ কংগ্রেসকে আবার রাজনৈতিক মঞ্চে ফিরে আনার এক সচেতন প্রচেষ্টা। ধর্ম ও রাজনীতির মেলবন্ধনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।

ghanty

Leave a comment