নিজস্ব সংবাদদাতা : ডোমজুড়ের একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় একজন মহিলাসহ চারজনকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত রবীন্দ্র সাহানিকে গ্রেপ্তার করার পর, তার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা সকলেই বিহারের বাসিন্দা।
বিহারের বেগুসরাই, সস্তিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিহার পুলিশের এসটিএফ-এর সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধান চালিয়ে, শেষ পর্যন্ত হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা তাদের গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ বর্তমানে সামসতিপুরে একটি সোনার দোকানের মালিকের খোঁজ করছে, যেখানে ডোমজুর থেকে লুট করা সোনা গলানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সেই সোনার দোকানের মালিক এখন পলাতক। সোনা গলানোর পেছনে মহিষীলা এলাকার আশাদেবী মাহাতোর হাত ছিল। আশাদেবী মহাতো আসানসোলের ৩ নম্বর মহিষীলার চাষাপট্টিতে তিন মাস ধরে একটি শিশু ও দুই যুবকের সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ এখন সেটাই তদন্ত করছেন। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়া নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাণীগঞ্জ ডাকাতির দুই দিন পর, ১১ জুন ডোমজুড়ে সোনার দোকানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুট হয়েছিল। ঘটনার তদন্তের পর পুলিশ বিহারের সুত্র খুঁজে পায় এবং এরপর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। রাণীগঞ্জ ডাকাতি কান্ডের সাথেও গ্রেপ্তারকৃতদের বিহারের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। পুলিশ সন্দেহ করছে, ডোমজুড় ও রাণীগঞ্জ ডাকাতির ষড়যন্ত্র আসানসোলেই বসে করা হয়েছিল।