আসানসোল |
পশ্চিম বঙ্গে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। শনিবার বিকেলে আসানসোলের কুলটি বিধানসভা এলাকার অ্যালডি ময়দানে বিজেপির এক জনসভায় যোগ দিয়ে প্রবীণ অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী তীব্র ভাষায় রাজ্য রাজনীতির দিকনির্দেশনা তুলে ধরলেন। স্পষ্ট কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেন, “যে কোনও মূল্যে বাংলা বাংলাদেশ হতে দেওয়া হবে না”।
মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, এই লক্ষ্য পূরণে তিনি শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। তিনি রাজ্যের সকল সনাতনী ও হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিজেপির নেতৃত্বে একটি শক্ত সরকার গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন একাধিক শীর্ষ নেতা
এই জনসভায় মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার, বিজেপির জেলা সভাপতি দেবতানু ভট্টাচার্য, হিন্দিভাষী নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ-সহ দলের একাধিক নেতৃত্ব ও বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক। সভামঞ্চে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে সংবর্ধনাও জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে তীব্র মন্তব্য
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলি হৃদয়বিদারক, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তিনি কাশ্মীর থেকে এক সময় হিন্দু ও ব্রাহ্মণদের বিতাড়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আজ বাংলায়ও অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে তিনি আবারও দৃঢ়ভাবে বলেন, বাংলা কোনওভাবেই বাংলাদেশে পরিণত হতে দেওয়া হবে না।
বিজেপিকে শক্তিশালী করার ডাক
মিঠুন চক্রবর্তী সকল মতপার্থক্য ভুলে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখনই সময় সমস্ত সনাতনী ও হিন্দু সমাজের একজোট হওয়ার। পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের হিন্দু নেতাদেরও সতর্ক থাকার বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, সময় থাকতে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
তিনি দাবি করেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এবং ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বিজেপির শক্ত সরকার অপরিহার্য, এবং সনাতনীদের সুরক্ষা দিতে একমাত্র বিজেপিই সক্ষম।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে স্পষ্ট বার্তা
সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, একটিও ভোট যেন অন্য কোনও দলে না যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের টাকা সাধারণ মানুষেরই প্রাপ্য—তাই টাকা নিন, কিন্তু ভোট দিন বিজেপিকে। তিনি দরিদ্র মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের তৈরি করা প্রাসাদ ভেঙে দেওয়ার ডাক দেন।
এই বক্তব্যকে ঘিরে কুলটি ও আশপাশের এলাকায় রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।











