ধর্ম ও পরিবেশ একসঙ্গে—তুলসী পূজন দিবসে ভিএইচপির প্রশংসনীয় উদ্যোগ

single balaji

রাণীগঞ্জ: সনাতন সংস্কৃতির ধর্মীয় চেতনা ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে তুলসী পূজন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) রাণীগঞ্জ ব্লক। রাণীগঞ্জের এনএসবি রোডে অবস্থিত ভিএইচপি কার্যালয়ের সামনে বাজার এলাকায় যাতায়াতকারী প্রায় ১০০ জন পথচারীর মধ্যে তুলসী গাছ বিতরণ করা হয়

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল সনাতন ধর্মে তুলসীর ধর্মীয়, পরিবেশগত ও ঔষধি গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। তুলসী গাছ হাতে পেয়ে পথচারীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই এই উদ্যোগকে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আসানসোল জেলার সভাপতি মনীশ কুমার শর্মা, জেলা যুগ্ম সম্পাদক তেজ প্রতাপ সিং, রাণীগঞ্জ ব্লক সম্পাদক বিশ্বজিৎ গোরাই। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিতেশ দত্ত, রোহন সিং, বিহু মণ্ডল, অমিত প্রজাপতি, নীতিশ সিনহা, পিন্টু যাদব, ধীরজ গোপ, নিহাল রাম এবং দুর্গা বাহিনীর ইশা যাদব, অর্চিতা সাউ সহ অন্যান্য কর্মীরা।

এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মনীশ কুমার শর্মা বলেন,
“তুলসী পূজন দিবস অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রতি বছর এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। আজকের দিনে প্রতিটি ভারতীয়ের এর গুরুত্ব জানা প্রয়োজন।”

তিনি একইসঙ্গে শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংয়ের চার সাহেবজাদার বীর শহিদির কথা স্মরণ করে বলেন, তাঁরা সনাতন ধর্ম রক্ষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। গুরু গোবিন্দ সিং বলেছিলেন— ‘একটি গাছ থেকে একটি পাতা ঝরে গেলেও সেখানে আবার নতুন পাতা জন্ম নেয়’। তাঁর ইচ্ছা ছিল, সনাতন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক মানুষ যেন এতটাই শক্তিশালী হন, যাতে সওয়া লক্ষ অত্যাচারীর সঙ্গেও লড়াই করতে পারেন।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে একদিকে যেমন তুলসী গাছ রোপণের বার্তা দেওয়া হয়েছে, তেমনই ধর্ম, ইতিহাস ও পরিবেশ রক্ষার প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে

ghanty

Leave a comment