বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বরাকরে উত্তাল মিছিল

single balaji

বরাকর:
বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক হামলা, লুটপাট ও অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগের প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় বরাকর শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। বরাকর পুরসভার ওয়ার্ড নম্বর ৬৮-এর গায়ত্রী নগর থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ মিছিলটি বাংলাদেশ বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে হালুই পট্টি ও হাটতলা অতিক্রম করে বারাকর রেলস্টেশন চত্বরে এসে শেষ হয়।

রেলস্টেশন চত্বরে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের কুশপুতুল দাহ করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ধর্মীয় পতাকা দেখা যায়। “বাংলাদেশে হিন্দু হত্যা বন্ধ করো”, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো”—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা।

বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী রাজু যাদব অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা আজ সম্পূর্ণ অনিরাপদ। নিয়মিতভাবে হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। তিনি দাবি করেন, দীপু চন্দ্র দাসকে স্থানীয় পুলিশের সামনেই হত্যা করা হয় এবং পরে প্রকাশ্যে চৌরাস্তায় তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, অথচ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

রাজু যাদব আরও অভিযোগ করেন, একাধিক ঘটনায় নাবালিকা মেয়েদের ঘরে আটকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “এই ধরনের বর্বরতা মানবতাকে লজ্জায় ফেলেছে।”

রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, সামান্য বিষয়েও যিনি প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন, সেই মুখ্যমন্ত্রী এত বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রহস্যজনকভাবে নীরব। ভোটব্যাংকের রাজনীতির কারণে তিনি মুখ খুলছেন না বলেও অভিযোগ তোলেন রাজু যাদব। তিনি দাবি করেন, অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালিয়ে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করতে হবে, তবেই রাজ্যে নিরাপদ ও স্বচ্ছ প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে এবং হিন্দু সমাজ সুরক্ষিত থাকবে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অঙ্কিত মণ্ডল, উমেশ সাউ, অজয় পাসওয়ান, শম্ভু সাউ, গৌরব রাওয়ানি, রোহিত রাওয়ানি, ধর্মেন্দ্র সাউ-সহ বিপুল সংখ্যক যুবক অংশ নেন। বিক্ষোভ চলাকালীন এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

ghanty

Leave a comment