খড়গপুর / নন্দীগ্রাম:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার গড়চকবেড়িয়া গ্রামের খারপোল এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক ঘটনার অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, সেখানে অনুষ্ঠিতব্য AIMIM-এর একটি সংগঠনিক কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়া হয় এবং দলের রাজ্যস্তরের নেতাদের আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনার জন্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করেছে AIMIM।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা নন্দীগ্রাম এলাকায় রাজনৈতিক পারদ চড়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, নন্দীগ্রাম বিধানসভার বর্তমান বিধায়ক হলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, যিনি এই আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন।
AIMIM-এর রাজ্য নেতা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা AIMIM কমিটির উদ্যোগে গড়চকবেড়িয়া গ্রামের খারপোল এলাকায় একটি সংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ AIMIM-এ যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
দানিশ আজিজের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি এস কে হায়দার আলি, জেলা সহ-সভাপতি শামসুর খান এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার একাধিক স্থানীয় নেতা। অভিযোগ, সেই সময়ে হঠাৎ করেই তৃণমূল সমর্থিত একদল দুষ্কৃতী সেখানে এসে হামলা চালায়, পথ আটকায় এবং নেতাদের দীর্ঘ সময় আটকে রাখে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এবং পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরে AIMIM-এর কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় দলটি।
গ্রামবাসীদের প্রতিবাদে পিছু হটতে বাধ্য অভিযুক্তরা
উত্তেজনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের গ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পাশাপাশি AIMIM কর্মীরাও জমায়েত হন। গ্রামবাসীদের তীব্র প্রতিবাদ ও চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা শেষ পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে গ্রামবাসীরাই AIMIM নেতৃত্বকে নিরাপদে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।
দানিশ আজিজ অভিযোগ করে বলেন,
“পরিকল্পিতভাবেই আমাদের কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। এটা গণতন্ত্রবিরোধী ও অসাংবিধানিক কাজ। আমরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।”
তিনি আরও বলেন, AIMIM এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে এবং প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। আগামী দিনে নন্দীগ্রামে AIMIM একটি শক্ত সংগঠন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রামে এই ঘটনার প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।











