জামুড়িয়া: মাসের পর মাস একের পর এক বৈঠক চললেও সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান না মেলায় শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের পথেই নামলেন জমির মালিকরা। শুক্রবার সকালে ইসিএল সোনপুর বাজারি এরিয়া অফিসের প্রধান গেটের সামনে ধর্না বিক্ষোভে বসেন প্রায় ২০ জন জমির মালিক।
শুক্রবার সকাল থেকেই সোনপুর বাজারি অফিসের মূল গেট সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। জমির বিনিময়ে চাকরির দাবিতে তাঁরা স্লোগানে মুখর করে তোলেন গোটা এলাকা। সংবাদ লেখা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত ছিল।
📌 ২০১৬-১৭ সালে জমি অধিগ্রহণ, কয়লা তোলা হলেও আজও নেই চাকরি
আন্দোলনে অংশ নেওয়া জমির মালিক অসিত রানা জানান,
“২০১৬-১৭ সালে ইসিএল আমাদের জমি অধিগ্রহণ করে। সেই জমি থেকে কয়লাও তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও একজন জমির মালিকও চাকরি পাননি।”
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবার এই সমস্যার শিকার। জমির বদলে প্রাপ্য অধিকার চেয়ে বারবার ইসিএল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও মিলেছে শুধু প্রতিশ্রুতি, বাস্তবে কোনও অগ্রগতি নেই। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে এই আন্দোলনের পথে নামতে হয়েছে।
🏢 ইসিএলের পাল্টা বক্তব্য
এই বিষয়ে ইসিএল সোনপুর বাজারি এরিয়ার ভূমি দফতরের আধিকারিক অভিষেক দুধওয়াল বলেন,
“জমি দেওয়া কয়েকজন এখনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেননি। নথি জমা পড়লেই পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইসিএলের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক জমি-দানকারী পরিবারই চাকরি পাবেন।”
তিনি আরও জানান, সোনপুর বাজারি প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার নিজে এই বিষয়টি তদারকি করছেন।
⚠️ বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বিক্ষোভকারীরা ইসিএল কর্তৃপক্ষকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“আমাদের জমির সব কয়লা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খারাপ। আমরা এই অজুহাত মানব না। যদি অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য অধিকার না দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে নেতৃত্বে থাকবেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও হরিরাম সিং, এবং আন্দোলন আরও বৃহত্তর রূপ নেবে।”
🔥 প্রশাসনিক মহলে বাড়ছে চাপ
এই আন্দোলনের জেরে এলাকায় প্রশাসনিক চাপ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এটি শুধু চাকরির প্রশ্ন নয়—এটি মানুষের জীবিকা ও বিশ্বাসের প্রশ্ন। দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।












