স্কুল গেটেই ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারি, শিশু সুরক্ষায় বড় সচেতনতা অভিযান

single balaji

আসানসোল:
স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে আসানসোল শহরের একাধিক স্কুলের সামনে বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল স্কুল পড়ুয়াদের বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

এই সচেতনতা কর্মসূচি বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত হয় আসানসোল নর্থ থানা এলাকার বিভিন্ন স্কুলের সামনে, যেখানে ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চলে জোরদার নজরদারি।

✅ কী কী বিষয়ে কড়া নজর দিল পুলিশ?

অভিযানের সময় পুলিশ বিশেষভাবে খতিয়ে দেখে—

  • স্কুল ভ্যান ও বাসের যানবাহনের ফিটনেস
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বৈধতা
  • নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত পড়ুয়া তোলা হচ্ছে কিনা
  • গাড়িতে জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপস্থিতি
  • চালকের দায়িত্ববোধ ও আচরণ

একাধিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার গাফিলতিও চোখে পড়ে। সেইসব চালকদের কড়া সতর্কবার্তা দেয় পুলিশ।

🚨 সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পরেই এই কড়াকড়ি

পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি আসানসোল এলাকাতেও স্কুল যানবাহন সংক্রান্ত একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই এই বিশেষ সচেতনতা অভিযান শুরু করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই তা রুখে দেওয়া যায়।

এক ট্রাফিক আধিকারিক জানিয়েছেন—
“এখন আমরা মানুষকে সচেতন করছি, চালকদের নিয়ম বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে নিয়ম না মানলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

🛑 এখন সতর্কবার্তা, এরপর কড়া ব্যবস্থা

অভিযান চলাকালীন একাধিক চালককে হেলমেট, সিট বেল্ট, গতিসীমা মেনে চলা, অতিরিক্ত যাত্রী না তোলা—এইসব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করা হয়। ভবিষ্যতে কোনও রকম গাফিলতি ধরা পড়লে সরাসরি জরিমানা ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

👨‍👩‍👧 অভিভাবকদের স্বস্তি, স্কুল কর্তৃপক্ষের সমর্থন

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, প্রতিদিন সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর সময় যে ভয় কাজ করে, এই অভিযান সেই ভয় অনেকটাই কমাবে। স্কুল কর্তৃপক্ষও পুলিশের এই উদ্যোগকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।

🔍 এখন নজর পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে

এই মুহূর্তে সচেতনতা অভিযান চললেও স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে খুব দ্রুত নিয়ম ভাঙলেই বড়সড় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ শুরু হতে পারে। ফলে স্কুল যানবাহনের চালক ও মালিকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে চাপ।

ghanty

Leave a comment