👉 কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ‘ম্যানেজ’ করতেন রমেশ গোপ
👉 টপ-লেভেল অফিসারের সুপারিশেই সিন্ডিকেটে প্রবেশ
👉 ED পুরো রিপোর্ট পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে, হোম মিনিস্টারকে ব্রিফ
কলকাতা/আসানসোল (প্রেম শঙ্কর চৌবে):
কয়লা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে টানা দুইদিনের জোরদার অভিযান চালানোর পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) যে তথ্য সামনে এনেছে, তা পুরো প্রশাসনকে নাড়া দিয়ে দিয়েছে। KK (কৃষ্ণ মুরারী কায়াল ওরফে বিল্লু) এবং LB (লাল বাহাদুর সিংহ)–এর সিন্ডিকেট–যোগে এবার উঠে এসেছে এক অবাক করা নাম—রমেশ গোপ। যার এন্ট্রি এতটাই সিনেমেটিক যে, ED কর্মকর্তারা পর্যন্ত হতবাক।
ED সূত্র জানায়, সিন্ডিকেটের মধ্যে তাকে ডাকা হয় “ম্যানেজ মাস্টার” নামে। কারণ—তার বিশেষ ভূমিকা ছিল একটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ম্যানেজ করা, যাতে সিন্ডিকেটের কাজ অবাধে চলতে পারে।
আরও বিস্ফোরক তথ্য—
একজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ অফিসারই নাকি রমেশের নাম সুপারিশ করেছিলেন, যার পরে তাকে সিন্ডিকেটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখান থেকেই শুরু হয়েছে বড় ধরনের সন্দেহ।
🔍 বছরের পর বছর ধরে চলা ‘ম্যানেজমেন্ট গেম’
অভিযোগ নতুন নয়। বহু বছর ধরেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার কিছু অংশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।
প্রথমে বার্নপুরের ভাম্বল এই দায়িত্ব সামলাতেন। পরে সীমান্ত এলাকার মিশ্র ও শর্মা সিন্ডিকেটের নির্দেশে এ কাজ করছিলেন। তাদের মাধ্যমে কাজ চলছিল প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে।
✔ কিন্তু হঠাৎ পরিবর্তন
এ বছরের নভেম্বরেই মিশ্রকে আচমকা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কেন—তা কেউ বুঝে ওঠার আগেই সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন এক নবাগত—রমেশ গোপ।
তার এন্ট্রি এতটাই নাটকীয় যে, সিন্ডিকেটের বহু পুরনো সদস্য অবাক হয়ে যান। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি নিজের পরিচয়, পরিচিতি সব কিছুই ‘বড় করে’ দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এবং ঠিক ৫ দিনের মধ্যেই—
ED রেইডে গোটা সিন্ডিকেট কেঁপে ওঠে, আর তদন্তের প্রথম তালিকাতেই চলে আসে রমেশের নাম।
🏨 হোটেল ব্যবসার আড়ালে সিন্ডিকেট অপারেশন!
ED তদন্তে উঠে এসেছে—
রমেশ গোপ ঝাড়খণ্ডের নির্দসা এলাকার বাসিন্দা এবং একটি হেভিওয়ে হোটেলের মালিক, যেখানে সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়মিত বৈঠক হতো বলে দাবি।
ED রেইডে উদ্ধার হয়েছে—
- ₹১৯ লক্ষ টাকা
- গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
- লেনদেন সংক্রান্ত ডায়েরি ও রেজিস্টার
🚨 নিরাপত্তা সংস্থায় তীব্র আতঙ্ক
রমেশের নাম ওঠার পর গোটা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থায় তোলপাড়।
ED তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট জানিয়েছে—
সিন্ডিকেট পুরো নেটওয়ার্ক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা সংস্থা—দু’পক্ষের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারত না।
ফাঁস কোথা থেকে হচ্ছে তা খুঁজতে ED কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে ফাঁদ।
সূত্রের দাবি—
রমেশের সঙ্গে দিল্লি পোস্টেড একজন অফিসার অনীল বাবুর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, সেখান থেকেই ডিল ফাইনাল হয়।
📩 সিন্ডিকেট-যোগে যুক্তদের কাছে ED পাঠাল ইমেল
ED জানিয়েছে—
- ডায়েরি–রেজিস্টারে পাওয়া ডজনখানেক নামের তালিকা তৈরি হয়েছে
- সকলকে ইমেল করে লেনদেন ও ভূমিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাইছে ED
- উত্তর পাওয়ার পরে CGO কমপ্লেক্স, কলকাতায় জেরা করা হবে
- প্রয়োজন হলে সিন্ডিকেট সদস্যদের মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলবে
⚡ এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ফাঁসের উৎস কোথায়?
ED–র এক কর্মকর্তা বলেন—
“এই নেটওয়ার্ক স্থানীয় সাহায্য ছাড়া এমন দীর্ঘসময় চলতে পারে না। প্রথম ধাপ—কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার ভেতরের লিকেজ ধরার চেষ্টা।












