রানিগঞ্জ: মাত্র পাঁচ বছরের এক নিরপরাধ শিশুকন্যাকে বাড়িতে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রানিগঞ্জে। অভিযুক্ত ২২ বছরের যুবককে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত — দু’জনই একই পাড়ার বাসিন্দা হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
📌 কীভাবে ঘটল নারকীয় ঘটনা?
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবক তীর-ধনুক খেলার নাম করে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, বাড়িতে তাঁবুর মতো সেটআপ তৈরি করে সে শিশুটিকে নির্যাতন করে। এ সময় ঘটনাটি অভিযুক্তের এক আত্মীয় দেখে ফেললে যুবকটি শিশুটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মা রাতেই ছুটে যান রানিগঞ্জ থানায়। থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে, এবং সেই রাতেই অভিযুক্তকে তার বাড়িতেই গ্রেপ্তার করা হয়।
📌 মেডিক্যাল টেস্টে পাঠানো হল নির্যাতিতা ও অভিযুক্তকে
মঙ্গলবার সকালে দু’জনেরই মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়।
পুলিশ সূত্রের দাবি —
👉 জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবক অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
📌 স্থানীয়দের বিস্ফোরক অভিযোগ: “এ প্রথম নয়!”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক আগে থেকেই অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। মহিলাদের উত্ত্যক্ত করা থেকে শুরু করে নানা অপরাধে তার নাম জড়িয়েছে বলেই দাবি।
এক প্রতিবেশীর কথায়—
“অনেক অভিযোগ ছিল ছেলেটার বিরুদ্ধে। কেউ কড়া ব্যবস্থা নেয়নি বলে আজ এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল।”
📌 শিশুটির মায়ের দাবি — “সবচেয়ে কঠোর শাস্তি চাই”
নির্যাতিতার মা কান্নাজড়িত গলায় বলেন—
“আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এমন অপরাধীর জন্য আজীবন কারাদণ্ডই একমাত্র শাস্তি।”
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মামলাটি উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং চার্জশিট দ্রুত জমা দেওয়া হবে।












