নয়াদিল্লি: তেলেঙ্গানার রাঙ্গারেড্ডি জেলায় সোমবার ভোরে ঘটল এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, যেখানে একটি যাত্রীবোঝাই রোডওয়েজ বাস ও একটি বালুভর্তি ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে চেভেল্লা থানার অন্তর্গত খানাপুর গেটের কাছে, যখন হায়দরাবাদের দিকে যাচ্ছিল তেলেঙ্গানা স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (TGSRTC) একটি বাস। হঠাৎই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার পর পুরো বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে আর্তচিৎকারে ভরে যায় এলাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি তান্দুর থেকে হায়দরাবাদ যাচ্ছিল এবং প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিল তাতে। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই অফিসযাত্রী ও কলেজ ছাত্রছাত্রী, যারা রবিবারের ছুটি কাটিয়ে হায়দরাবাদ ফিরছিলেন। সংঘর্ষের পর বাসের সামনের অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে এবং অনেক যাত্রী গাড়ির ভিতর আটকা পড়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ একসঙ্গে উদ্ধারকার্য শুরু করে, আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ডাম্পারটি ভুল দিক থেকে এসে নিয়ন্ত্রণ হারায়, যার ফলেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে।
তেলেঙ্গানার মন্ত্রী পোন্নম প্রভাকর গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন,
“এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রী TGSRTC-এর এমডি নাগি রেড্ডি এবং রাঙ্গারেড্ডি জেলার কালেক্টরকে ফোন করে নির্দেশ দেন, যাতে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় এবং দুর্ঘটনার কারণের পূর্ণ তদন্ত হয়।
এই দুর্ঘটনার পর হায়দরাবাদ-বিজাপুর হাইওয়েতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় গাড়ির। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
💐 মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

















