আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গ: রবিবার সকালে আসানসোলের এলআইসি মোরের কাছে অবস্থিত এ.জি. চার্চে চরম অশান্তির সৃষ্টি হয়। চার্চ পরিচালনা কমিটির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দখলকে কেন্দ্র করে বেধে যায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। একে অপরের উপর চড়াও হয়ে মারে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি মহিলারাও আহত হন এই সংঘর্ষে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে চার্চ পরিচালনা কমিটির একাংশ চার্চের স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত বিবাদ ঘিরে মূল গেটটি তালাবন্ধ করে রেখেছিল। অপর গোষ্ঠী সেই তালা খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামে এবং থানায় অভিযোগও জানায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল ওই এলাকা ঘিরে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।
শনিবার গভীর রাতে অপর গোষ্ঠীর সদস্যরা চার্চের তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে, এরপর থেকেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। রবিবার সকালে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যখন চার্চের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপর অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরা পুলিশের সামনেই হামলা চালায়। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ঘুষাঘুষি, চুল টানা, এমনকি লাঠি নিয়ে সংঘর্ষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। এলাকায় প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলছে এবং চার্চ প্রাঙ্গণে প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “চার্চে শান্তির বদলে এখন যুদ্ধের আবহ। আমরা এমন কিছু কখনও দেখিনি।”
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ শুধু স্কুলে ভর্তি নিয়েই নয়, বরং চার্চ পরিচালনার ক্ষমতা, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নেও দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠেছে।

















