জামুড়িয়া (আসানসোল):
আলোকিত ভোরে ছট পুজোর আনন্দঘন মুহূর্তকে কালো ছায়ায় ঢেকে দিল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
শনিবার সকালে জামুড়িয়া দমদরপুর নিমগড়ি ছট ঘাটে ৫২ বছর বয়সী পাণ্ডে দাস নামের এক ব্যক্তি পুকুর পার হতে গিয়ে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন।
পাণ্ডে দাস ছিলেন জামুড়িয়া বাইপাসের হুসেন নগর এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটে ভোর ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ, যখন চারপাশে ভক্তরা সুর্যোদয়ের অর্ঘ্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
🕯️ পরিবারের অনুরোধ উপেক্ষা করে নামলেন জলে, আর উঠলেন না কখনও
জানা গেছে, পাণ্ডে দাস পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ছট পুজো পালন করতে ঘাটে এসেছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জলে নামতে বারবার নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু তিনি হেসে বলেন,
“একবার পার হয়ে যাই, কিছু হবে না।”
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস — পুকুরের মাঝ বরাবর পৌঁছেই তিনি গভীর জলে তলিয়ে যান।
🚨 দমকল, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তৎপরতা
ঘটনার পরপরই উপস্থিত পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করে।
গাড়ি থেকে টিউব নামিয়ে জল তল্লাশি অভিযান শুরু হয়, কিন্তু তাঁর কোনও হদিস মেলে না।
পরে আসানসোল থেকে স্পিডবোট আনা হয়, এবং প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পাণ্ডে দাসকে দ্রুত আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
😢 ছটের আনন্দে হঠাৎ নেমে এল অন্ধকার
এই মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঘাটে উপস্থিত শত শত ভক্ত হতবাক হয়ে যান।
যেখানে কিছুক্ষণ আগেও “ছট মাইয়া কি জয়!” ধ্বনি উঠছিল, সেখানে মুহূর্তেই নেমে আসে নিস্তব্ধতা ও কান্না।
🙏 প্রশাসনের প্রতি আবেদন
স্থানীয় বাসিন্দা ও পূজা কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে —
“প্রতি ছট ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ডুবুরি দল মোতায়েন থাকা উচিত, যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে।”
🌅 শেষে ভক্তদের প্রতি আহ্বান
পাণ্ডে দাসের মৃত্যুর পর স্থানীয় পূজা কমিটি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা সভার আয়োজন করে।
সঙ্গে সবার কাছে আহ্বান জানানো হয় —
“ছট পুজোর সময় জলের গভীরতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন, নিজের জীবনকে বিপন্ন করবেন না।”

















