📍সংবাদদাতা: সঞ্জীব বরাকর | আসানসোল

আস্থার মহাপর্ব ছটপূজাকে সামনে রেখে রবিবার আসানসোল মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল পৌরনিগমের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা বরাকর ও আশপাশের বিভিন্ন ছটঘাট পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারে ভক্তদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এসডিও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য-এর নেতৃত্বে গঠিত দল প্রথমেই ডিসারগড় ছটঘাট ঘুরে দেখেন। এরপর তাঁরা নালাপাড়া ছটঘাট, ডায়মন্ড গ্রাউন্ড ছটঘাট, চিরকুন্ডা সেতুর নিচের ঘাট, বরাকর রেলব্রিজ সংলগ্ন মাদ্রাজীপাড়া ঘাট এবং বাবাজি ঘাট পরিদর্শন করেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পৌরনিগমের উপ-মেয়র ওয়াসিম উল হক, এমআইসি রকেট দা, এমআইসি মানস দাস, বোরো চেয়ারম্যান চৈতন্য মাঝি, কাউন্সিলর রাধা সিংহ, টুম্পা চৌধুরী, কুলটি থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু দত্ত এবং বরাকর ফাঁড়ির ওসি সুকান্ত দাস।

পরিদর্শনের সময় এসডিও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন—

“ছটের দিন ঘাটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিটি ঘাটে সিভিক ভলান্টিয়ার ও প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল মোতায়েন করা হবে, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”

পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘাটে আলোকসজ্জা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পানীয় জলের ট্যাংক এবং ঘাট পরিষ্কার অভিযানের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাটগুলিকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসিটিভি নজরদারি বসানো হবে। ছটপূজার দিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত থাকবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, “প্রতি বছর ছটের দিনে বরাকর ও ডিসারগড়ের ঘাটে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হন। এবারে প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ অনেকটাই কমেছে।”