দুর্গাপুর, ২৫ অক্টোবর: দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকায় শনিবার দুপুরে এক অটোচালকের দাদাগিরি ও মারমুখী আচরণে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, এক অটোচালক অবসরপ্রাপ্ত এলআইসি আধিকারিক তপন মজুমদারের গাড়ির সামনে কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং গাড়ির বোনেটেও ক্ষতি সাধন করে।
সূত্রের খবর, তপনবাবু ওই দিন বিধাননগরের এক বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে নিজের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে গিয়েছিলেন। রিপোর্ট হাতে নিয়ে যখন তিনি গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে বের হন, তখন তাঁর গাড়ি সামান্যভাবে একটি অটোর পিছনে ছুঁয়ে যায়।
এমন তুচ্ছ ঘটনায় অটোচালক রেগে আগুন হয়ে যান। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন, এবং মুহূর্তের মধ্যেই গাড়ির সামনে লাথি ও ঘুষি মারতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে তপনবাবুর গাড়ির সামনের উইন্ডশিল্ড সম্পূর্ণ ভেঙে দেন, এবং বোনেটও বাঁকা করে দেন।
ঘটনার পর এলাকায় ভিড় জমে যায়। কেউ কেউ মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করেছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অটোচালক প্রায়ই স্ট্যান্ডে ঝামেলা পাকান এবং তার বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু প্রশাসন নীরব ছিল।
তপন মজুমদার পরে বিধাননগর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট অটোস্ট্যান্ড পরিদর্শন করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও হুমকির ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।”
অন্যদিকে, তপনবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি মাফও চেয়েছিলাম, কিন্তু সে বিন্দুমাত্র শোনেনি। আমি এমন আচরণ জীবনে দেখিনি। এটা নিছক দাদাগিরি।”
এলাকায় এখনো আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ নাগরিকদের দাবি — “এমন উচ্ছৃঙ্খল অটোচালকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে উদাহরণযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে।”












