🌾 কুলটিতে যদুবংশী সমাজের আয়োজনে ধুমধাম করে পালিত গোবর্ধন পূজা!

single balaji

কুলটি (সঞ্জীব যাদব): বুধবার সন্ধ্যায় কুলটি-২ পোস্ট এলাকায় যদুবংশী সমাজের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী গোবর্ধন পূজা মহা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হলো। এদিন ভক্তবৃন্দ প্রথমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও সত্যনারায়ণ ভগবানের পূজা করেন এবং ভক্তিভরে পূজার কাহিনি শ্রবণ করেন।

গোবর্ধন পূজার অংশ হিসেবে গোমাতার পা ধুয়ে তিলক পরানো হয় এবং পূজা করা হয়। এরপর গোমাতাকে মিষ্টান্ন খাওয়ানো হয় ও পূজার ধ্বজা উত্তোলন করে উৎসবের সূচনা হয়। আশেপাশের এলাকা জুড়ে ‘জয় শ্রীকৃষ্ণ’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে।

সংস্থার কর্ণধার হরিরাম যাদব জানান, “আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পূজার ঐতিহ্যের সূচনা করেছিলেন। এই পূজা আসলে সনাতন ধর্মের প্রতীক, যা প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রাচীন বার্তা বহন করে।”

তিনি আরও বলেন, “গোবর্ধন পূজা আমাদের ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির এক অমূল্য প্রতীক। গৌধন রক্ষার্থে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পর্বত তুলেছিলেন— সেই থেকে এই পূজা পালিত হয়ে আসছে।”

এই শুভ অনুষ্ঠানে পণ্ডিত কালীচরণ পণ্ডিত পূজার আচার সম্পন্ন করেন। উপস্থিত ছিলেন যদুবংশী সমাজের বিশিষ্ট সদস্যরা— হরিরাম যাদব, লাল বাবু যাদব, সুরেশ যাদব, বিসু যাদব, বীরেন্দ্র যাদব, রামজি যাদব, সত্যেন্দ্র যাদব, সঞ্জীব যাদব, ভারত যাদব, শশী যাদব, রবি যাদব, রাজকুমার যাদব প্রমুখ।

শেষে সকল ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং পরিবেশ ভরে ওঠে ভক্তিগীতি ও শঙ্খধ্বনিতে। কুলটির এই গোবর্ধন পূজা এবার যেন নবজাগরণের বার্তা দিল সমাজে— “গোমাতা রক্ষা, প্রকৃতি রক্ষা, মানবতার রক্ষা।

ghanty

Leave a comment