🏠 “বাড়ি ছাড়ুন” নির্দেশে চরম ক্ষোভ, স্টিল টাউনশিপে DSP-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল বাসিন্দারা

single balaji

দুর্গাপুর:
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP)–এর কোয়ার্টার খালি করার নোটিসকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যায় প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন লাইসেন্স হোল্ডাররা। ‘দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ লাইসেন্সি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যানারে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

শতাধিক পরিবার DSP-এর দপ্তরের সামনে প্ল্যাকার্ড ও মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের দাবি —

“বছরের পর বছর টাকা দিয়ে এই কোয়ার্টার নিয়েছি, এখন DSP জোর করে আমাদের রাস্তায় নামিয়ে দিতে চাইছে!”

😡 “আমাদের পেনশন দিয়ে বাড়ি কিনেছি, এখন DSP বলছে ছেড়ে দাও!”

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, DSP ম্যানেজমেন্ট বছরের পর বছর ধরে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে।
অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন —

“আমরা পেনশন ও সঞ্চয়ের টাকায় এই কোয়ার্টার কিনেছি। এখন যখন পরিবারের কেউ মারা যায়, তখন DSP ট্রান্সফার করছে না, বরং হুমকি দিচ্ছে — ‘বাড়ি ছাড়ো’। আমরা যাব কোথায়?”

⚡ DSP-র নির্দেশ: “৩১ অক্টোবরের মধ্যে টাকা না দিলে পুলিশ পাঠানো হবে”

অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সুদীপ্ত নাগ জানান, DSP তাদের পাঠানো নোটিসে স্পষ্ট করেছে —

“যাঁরা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে টাকা জমা দেবে না, তাদের পুলিশ দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।”

এমনকি কিছু পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে —

“যদি টাকা না দেওয়া হয়, তবে বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ কেটে দেওয়া হবে।”

🪶 বাসিন্দাদের দাবি — “কিস্তিতে টাকা দিতে রাজি, কিন্তু DSP শুনছে না”

প্রতিবাদীদের বক্তব্য — তারা ধীরে ধীরে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধ করতে রাজি, কিন্তু DSP প্রশাসন তাদের কথা শুনতে চায় না।
ফলে বাধ্য হয়েই তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের পথ বেছে নিচ্ছে

তাদের হুঁশিয়ারি —

“যদি DSP তাদের মনোভাব না বদলায়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্না ও গেট অবরোধ করা হবে।”

🏢 DSP-র পক্ষের দাবি

DSP কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে —

“বেশিরভাগ লাইসেন্স হোল্ডার এখনও পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। তাই নোটিস দেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে টাকা না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

🔥 টাউনশিপে উত্তেজনা, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

বিক্ষোভের পর টাউনশিপ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
অন্যদিকে স্থানীয়রা DSP প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন —

“অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্ক কর্মীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো হোক।”

✊ “জীবনভর কারখানায় কাজ করেছি, আজ সেই কারখানাই আমাদের গৃহহীন করতে চাইছে!”
— এক প্রবীণ বিক্ষোভকারীর কণ্ঠে ক্ষোভ ও বেদনার সুর

ghanty

Leave a comment