দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার ওয়ার্ড নং ১-এ শুক্রবার রাতের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। ৬৪ বছর বয়সী দুর্গদাস কর তাঁর স্ত্রী মুকুল কর (৫০) কে খুন করার পর নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দূর্গদাস এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর স্ত্রীর ঘাড় কেটে হত্যা করেছেন। ঘটনার পরেই তিনি থানায় পৌঁছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা তার কথায় স্তম্ভিত হলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা মৃতার শরীর রক্তের লোবায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে মৃতার ঘাড়ে কাচের টুকরোও রয়েছে।
ঘটনার সময় দম্পতির ছেলে টিউশন পড়াতে বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে তিনি এই ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর পান। পুলিশ মৃতদেহকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে এবং আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, এই পরিবারের মধ্যে পূর্বে কোনো ঝগড়ার খবর ছিল না। প্রতিবেশী কাজল কর্মকার বলেন, “আমি তাদের মধ্যে কখনও ঝগড়ার কথা শুনিনি। এই ব্যক্তি ১২ বছর আগে ওড়িশা থেকে ধোবিঘাটে এসেছে।” কিছু স্থানীয় মহিলা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “তিনি শিক্ষিত পরিবারে জন্মেছেন, কিন্তু আমরা তাকে বাইরে যেতে বা কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখিনি। এই তিন পরিবারই শান্তিপূর্ণ ছিল, তবে এই ঘটনায় কি রহস্য লুকিয়ে আছে?”
পূর্ব জেলা কন্ট্রোলার অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং হত্যার পেছনের কারণ জানতে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ সকালে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং ঘটনার গভীর তদন্তের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।