রূপনরায়ণপুরে চুরি থামছে না, সাধারণ মানুষ আতঙ্কে

unitel
single balaji

রূপনরায়ণপুর (পশ্চিমবঙ্গ): রূপনরায়ণপুরে চুরি ও সন্ত্রাসের ঘটনাগুলি ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশ প্যাট্রোল, সিসিটিভি এবং প্রহরীরা সবই কাগজে থাকলেও চোরেরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক বাড়ি লক্ষ্য করে চুরি করছে। গত ২০ দিনের মধ্যে ৫টি বড় চুরি ঘটেছে।

সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী শুভাশীষ তিওয়ারীর বাড়িতে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এক রাতের জন্য আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় দেখেন, বাড়ির তালা ভাঙা, ঘর ভাঙামো, এবং স্বর্ণ, নগদ ও কাপড় লোপাট।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রানা মাহতো বলেন, “চোরেরা নিশ্চিতভাবে এলাকার কাউকেই তথ্য পাচ্ছে। পুলিশকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করা উচিত।”

প্রশাসনের অক্ষমতা ফাঁস হচ্ছে

রূপনরায়ণপুর এখন আর ছোট গ্রাম নয়; এখানে ২১টি বুথে বিস্তৃত জনসংখ্যা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ ফোর্স ও গস্ত স্তর আগের মতোই রয়েছে। চুরি ঘটার পর পুলিশ কয়েক দিন আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত থাকে, তারপর সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

সিসি ক্যামেরা বসানো হবে”—এই প্রতিশ্রুতি এখন কেবল পুনরাবৃত্তি। এলাকার অনেক অংশ এখনও নিয়ন্ত্রণহীন ও সিসি ক্যামেরা থেকে বাইরে।

সংগঠিত চোর গ্যাং ও স্থানীয় সহযোগী

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোরের দল আসানসোলের আশেপাশের এলাকা থেকে সংগঠিতভাবে রূপনরায়ণপুরে আসে, এবং কিছু স্থানীয় অসামাজিক উপাদান তাদের সহায়তা করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এই সংগঠিত চোর দল বিরুদ্ধে এখনো কার্যকর অভিযান শুরু করতে পারেনি।

ভয়ের রাত, মানুষের উদ্বেগ

রূপনরায়ণপুরের মানুষ এখন রাত কাটাচ্ছে আতঙ্কে। বাড়ির তালা লাগানোর আগে ভাবছেন—“কোথাও চুরি হবে কি না?” চুরি ও প্রশাসনের নীরবতা চোরদের সাহস বাড়াচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ভয় তৈরি করছে।

এখানে এখন একটাই প্রশ্ন—“চোররা কি আরও বুদ্ধিমান, নাকি প্রশাসন সত্যিই অক্ষম?”

ghanty

Leave a comment