আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ):
কখনও “ভূতের গ্রাম” নামে শিরোনামে থাকা আসানসোলের বেনাগ্রাম আবার আলোচনায়। প্রায় ৩০ বছর আগে, ১৯৯৪ সালে, প্রায় দেড়শো পরিবার রাতারাতি রহস্যজনক পরিস্থিতিতে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। আজও গ্রামটি পরিত্যক্ত ও নির্জন।
🌙 লক্ষ্মীপুজোয় একদিনের জন্য জীবন্ত হয়ে ওঠে গ্রাম
প্রতি বছর লক্ষ্মী পূজোর সময় গ্রামটি একদিনের জন্য আবার প্রাণ ফিরে পায়। পুরনো বাসিন্দারা ফিরে আসেন, সকাল থেকে হয় ঘরবাড়ি পরিষ্কার আর সাজসজ্জা। সন্ধ্যায় হয় প্রাচীন লক্ষ্মী মন্দিরে পূজা ও ভোগের আয়োজন। ভক্তিময় পরিবেশে রাত কাটে, কিন্তু ভোর হলেই আবার নেমে আসে ভুতুড়ে নীরবতা।
👻 ভূতের ভয় নয়, পানীয় জল আর বিদ্যুতের অভাব
স্থানীয়দের দাবি, গ্রাম ছাড়ার কারণ ভূতের ভয় নয়, বরং বিদ্যুৎ ও জলের অভাব।
- সে সময় গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
- পাশ দিয়ে যাওয়া রেললাইনে বারবার আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটত।
- সেই থেকেই ছড়ায় “ভূতের গ্রাম” বলে গুজব।
- অসামাজিক চক্র এই ভয়কে কাজে লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টাও করে।
⚡ পরিবর্তনের হাওয়া
এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।
- গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছে।
- রেলওয়ে লাইনের ধারে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করেছে, যাতে কেউ লাইনের কাছে যেতে না পারে।
- এখন কেবল পানীয় জলের অভাব।
গ্রামবাসীরা বলেন —
“যদি জলের ব্যবস্থা হয়, আমরা আবারও বেনাগ্রামে ফিরে এসে বসত গড়তে প্রস্তুত।”
❓ প্রশ্ন রয়ে যায়
বেনাগ্রাম কি আবার বসত গ্রাম হবে?
নাকি “ভূতের গ্রাম” নামটাই থেকে যাবে তার চিরকালের পরিচয়?
সিটি টুডে নিউজের বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে আসছে এই গ্রামকে ঘিরে থাকা প্রতিটি রহস্যের আসল কাহিনি।