আসানসোল/সীতারামপুর:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সীতারামপুর রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে ‘সেবা সপ্তাহ’ পালন করল আদিকর্ণা ফাউন্ডেশন। সমাজসেবাকে উৎসাহ দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মযজ্ঞকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই এই অনুষ্ঠান। দিনভর লাড্ডু বিতরণ, যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান, সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং স্টেশনের উন্নয়ন নিয়ে দাবি—সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে জমে উঠেছিল সীতারামপুর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা আদালত ও সিবিআই কোর্টের একাধিক সিনিয়র আইনজীবী ও সমাজকর্মী। উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট রীনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রীনা ভার্মা, অমকার শরণ সিংহ, সুজিৎ মুখার্জি (খোকন দা), বীরেন্দ্র সিংহ, কঞ্চন সিনহা, বিনোদ সিং সোলঙ্কি। পাশাপাশি সমাজকর্মী ডাঃ আবরার আহমেদ, কবি সিংহ, কাজল দাস প্রমুখও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সীতারামপুর আরপিএফ পোস্টের আধিকারিকরাও বিশেষভাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সহযোগিতা করেন।
প্রধান আকর্ষণ ও মূল বার্তা:
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবি। আদিকর্ণা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সন্তোষ কুমার বর্মা প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই দাবি তোলেন। তিনি বলেন, “যাত্রীদের সুবিধার্থে সীতারামপুর স্টেশনে আরও বেশি ট্রেনের স্টপেজের প্রয়োজন।” অ্যাডভোকেট রীনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “‘অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা’-র মাধ্যমে সীতারামপুর স্টেশনের নতুন রূপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, “সেবা সপ্তাহ শুধুমাত্র জন্মদিনের অনুষ্ঠান নয়, এটি সাধারণ মানুষের সুবিধা ও সেবার জন্য একটি পদক্ষেপ।” অনুষ্ঠানে যাত্রীদের লাড্ডু দেওয়া হয় এবং স্টেশনকে প্রতীকীভাবে ‘সীতারাম ধাম’ নামকরণ করা হয়। বিনোদ সিং সোলঙ্কি তার বক্তব্যে স্টেশনের গুরুত্ব ও ফাউন্ডেশনের জনকেন্দ্রিক কাজের প্রশংসা করেন। নারী আইনজীবীরাও বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমাজসেবামূলক প্রকল্পের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি সন্তোষ কুমার সকল অতিথি ও আরপিএফ আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সমাজসেবাই সর্বশ্রেষ্ঠ সেবা, আর মোদীজির জন্মদিনকে সেবা সপ্তাহ হিসেবে পালন করা প্রকৃত শ্রদ্ধার নিদর্শন।”












