ফরহা নাজ–আসিফ মাস্টারমাইন্ড, শুটার আনা হয় আদিল আলমের মাধ্যমে

আসানসোল/নিয়ামতপুর। বহুল আলোচিত জাভেদ বারিক হত্যাকাণ্ডে অবশেষে পুলিশের বড়সড় ফাঁস। শনিবার কুলটি থানার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এসিপি জাভেদ জানালেন, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই খুনের ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যার মূল হোতা ফরহা নাজ ও তার স্বামী আসিফ। আসিফ চাঁদ নামের এক যুবকের মাধ্যমে পেশাদার শুটারের ব্যবস্থা করে। তদন্তে উঠে এসেছে—শুটার আদিল আলম এবং তার সহযোগী সোনু-সহ মোট ১০ জন এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৮ অভিযুক্ত। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি ও অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

এসিপি জানান, ৫ লক্ষ টাকায় এই হত্যার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। আপাতত আসিফ ও জাভেদ কুরেশি পলাতক রয়েছে, তাদের ধরতে পুলিশের একের পর এক তল্লাশি চলছে। পুলিশ মনে করছে, এই দুজন ধরা পড়লে পুরো চক্রের আরও তথ্য প্রকাশ পাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাভেদ বারিক এলাকার সক্রিয় সমাজকর্মী ছিলেন। জমিজমা নিয়ে তার প্রভাব থাকায় বহু পক্ষ ক্ষুব্ধ ছিল। তদন্তকারীদের মতে, এই ক্ষোভই ধীরে ধীরে খুনের চক্রান্তে রূপ নেয়। ঘটনার পর নিয়ামতপুর এবং আসানসোল এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

পুলিশের তরফে দাবি, শীঘ্রই বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে এবং পুরো নেটওয়ার্ককে আইন-আদালতে দাঁড় করানো হবে।

ghanty

Leave a comment