রাস্তার সমস্যায় নামল গবেষক দল: সিএমইআরআই খুঁজছে স্থায়ী সমাধান

single balaji

দুর্গাপুর শহরে টানা বৃষ্টির ফলে জাতীয় সড়ক ১৯-এর সার্ভিস রোড একেবারে নদীতে পরিণত হয়েছে। মুচিপাড়া থেকে বসঘোপা পর্যন্ত রাস্তার চেহারা এখন বয়ে চলা খালের মতো। চারিদিকে বড় বড় গর্ত, আর তাতে জমে থাকা জল পথচারী থেকে শুরু করে গাড়িচালকদের নিত্যদিনের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
“আমার গাড়ির মধ্যে জল ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। শেষমেশ গ্যারাজ পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যেতে হয়েছে। রাস্তা মেরামতের জন্য আগেই লিখিত আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

ফলত, প্রতিদিনই প্রাণ হাতে নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে মানুষকে। মোটরসাইকেল চালক থেকে অটোচালক—সবার কাছেই এই রাস্তা এখন বিপজ্জনক। দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক প্রকৌশল গবেষণা প্রতিষ্ঠান (CMERI)-এর বিজ্ঞানীরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞানী অভিনাশ কুমার যাদব জানান—
“আমরা মুচিপাড়া থেকে বসঘোপা পর্যন্ত অংশটি ঘুরে দেখেছি। জল নিষ্কাশন কীভাবে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে বর্তমানে সমীক্ষা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ চ্যানেলের মাধ্যমে জল নিষ্কাশনের পথ খুঁজছে। পাশাপাশি খোলা জায়গায় কীভাবে জল জমাট বাঁধা রোধ করা যায়, তাও নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

এই পরিদর্শনে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন প্ৰাধিকরণ (ADDA)-এর আধিকারিক ও প্রকৌশলীরাও উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে একটি স্থায়ী সমাধান বের করতে তৎপর রয়েছেন।

স্থানীয়রা আশা করছেন, সিএমইআরআই বিজ্ঞানীদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত কার্যকর হলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। তাদের জোর দাবি—একটি স্থায়ী ড্রেনেজ সিস্টেম ও দ্রুত রাস্তার সংস্কারই ভবিষ্যতের জন্য একমাত্র ভরসা।

ghanty

Leave a comment