বরাকর, ৭ সেপ্টেম্বর।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বরাকর রবিবার এক ভক্তিময় পরিবেশের সাক্ষী থাকল। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে দণ্ডবৎ করে কেদারনাথ অভিমুখে রওনা হওয়া তিন যুবকের দল বরাকরে পৌঁছালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরং দলের কর্মীরা তাঁদের জাঁকজমকভাবে স্বাগত জানান।
🙏 অবিশ্বাস্য দণ্ডবৎ যাত্রা
এই দণ্ডবৎ যাত্রার নেতৃত্বে আছেন ২৮ বছর বয়সি বিক্রম মাজি। তিনি প্রতিদিন হাঁটু গেঁড়ে ও দণ্ডবৎ করে কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও দুই সহযোগী, সঞ্জিত কুমার মাজি ও বিকাশ মাজি, যারা প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর পাশে থেকে সাহায্য করছেন।
🌸 বরাকরে সম্মান ও বিশ্রাম
বরাকরে পৌঁছনোর পর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বেগুনিয়ার গৌরাঙ্গ মন্দিরে, যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাধু শ্রী সীতারাম বাবা। সেখানে তাঁদের জন্য বিশ্রাম, প্রসাদ, ফল, মিষ্টি ও জলখাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
🗣️ ভক্তির শক্তির প্রশংসা
এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি রাম সিংহ, বজরং দলের কুলটি সমন্বয়ক বিষ্ণু শর্মা, ভি.এইচ.পি কুলটি ব্লকের সম্পাদক রাকেশ কুমার গুপ্ত, বজরং দলের সমন্বয়ক জয়প্রকাশ রাবানি, মনীষ কুমার ‘বিট্টু’ বিশ্বকর্মা প্রমুখ।
রাম সিংহ বলেন—
“ভক্তির মধ্যে অপার শক্তি আছে। বিক্রম মাজির এই অনন্য দণ্ডবৎ যাত্রা আমাদের শেখায়, দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।”
🚩 এক বছরের ভক্তিময় অঙ্গীকার
বিক্রম মাজি জানিয়েছেন, তিনি এই যাত্রা শুরু করেছেন কাটোয়া থেকে ১লা আগস্ট। ইতিমধ্যেই এক মাস কেটে গেছে, আর দণ্ডবৎ করে তিনি পৌঁছেছেন বরাকরে। তাঁর লক্ষ্য আগামী এক বছরে ১৬৫৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে কেদারনাথ ধামে পৌঁছনো।
তিনি আরও বলেন, “যেখানেই যাচ্ছি, মানুষজন আমাদের যে ভক্তি ও ভালবাসা দিচ্ছেন, তা এই কষ্টকর যাত্রাকে আরও সহজ করে তুলছে।”
🌺 জনতার আবেগ ও সমর্থন
রবিবার ভক্তদের ফল, ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সম্মান জানিয়ে পুনরায় তাঁদের যাত্রার পথে বিদায় জানানো হয়। বরাকারের বহু মানুষ এই অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে আবেগে আপ্লুত হন এবং যাত্রার সফলতা কামনা করেন।












